দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কর্মব্যস্ত জীবনে মায়েরা বাচ্চাদের দেখাশোনা, পরিবারের দেখাশোনার মাঝে নিজের প্রতি খেয়ালের সময়ই পান না। পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি একজন মায়েরও নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া উচিত। নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ফলে আপনার পরিবার থাকবে আরো হাসিখুশি এবং উদ্দীপনাময়।
যে চারটি পন্থায় মায়েরা তাদের নিজেদের যত্ন নিতে পারেন তা নিচে একে তুলে ধরা হলো
১. সবুজ সতেজ খাবার বেশি করে খেতে পারেন
গ্রীষ্মের এই সময়টায় শরীরের বাড়তি যত্ন নিতে হয় কেননা এই সময় রোদের দাবদাহ থাকে বেশি এবং শরীরের পুষ্টি শুষে নিয়ে শরীরকে করে আরো দুর্বল। তাই এই সময় খাবারের ক্ষেত্রে যতটা বেশি শাক-সবজি খাওয়া যায় ততটাই ভালো। এছাড়া সতেজ ফল খেতে পারেন সকালের নাস্তায়। তারমধ্যে রয়েছে কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি। সবুজ সতেজ শাকসবজিকে বলা হয় উচ্চ-আঁশযুক্ত খাবার। যা আপনার শরীরের ওজন না বাড়িয়ে আপনার ক্ষুধাকে নিয়ন্ত্রণ করবে। সবুজ শাক-সবজিতে আরো আছে উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার শরীরকে রাখে স্বাস্থ্যসম্মত।
২. প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন
পানি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপকরণ। আমাদের শরীর প্রায় ৬০ শতাংশ পানি দিয়ে তৈরি। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এই পানির উপর নির্ভর করে। গরমের রোদের মাত্রা থেকে শরীরের ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য বেশি করে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও হার্টরেট, হজম, শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য বেশি করে পানি পান করা দরকার। এছাড়া আপনি পুদিনা, লেবু কিংবা ফলের রসের জুস পান করতে পারেন বেশি বেশি। ভেষজ পানি বিশেষ করে আদা চা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। তাছাড়াও লেবু চা, পুদিনা চা খুব ভালো উপকারী।
৩. যতটা পারেন কার্বোহাইড্রেটকে এড়িয়ে চলুন
কার্বোহাইড্রেট শরীরের ডায়েটিং এর জন্য ক্ষতিকর। ব্রেড, পাস্তা, ক্রেকারস, কুকিজ এবং অন্যান্য কার্বোহাইড্রেটকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এই সকল খাদ্য উচ্চ ক্যালরি বহন কর থাকে। তাছাড়া এই সকল খাদ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান। কার্বোহাইড্রেট আমাদের সুষম খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সতেজ ফলের উপাদানের কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করতে পারেন। সতেজ ফলমূলের কার্বোহাইড্রেট আপনার শরীরের ব্লাডের সুগারের পরিমাণ বাড়াবে না।
৪. ঘরে তৈরি খাবার খান
কর্মব্যস্ত মায়েদের জন্য সবচেয়ে কঠিন একটি কাজ হচ্ছে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়া; কেননা সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর রান্নাঘরের ধোঁয়া হয়তো আপনার সহ্য নাও হতে পারে। তবে একটি বিষয় হচ্ছে, আপনি যখন আপনার নিজের এবং আপনার পরিবারের জন্য খাবারটি তৈরি করবেন তখন তার প্রতি যে যত্নশীলতা থাকবে তা বাইরের খাবারে কখনোই পাবেন না। তাই ঘরে খাবারের প্রতি আগ্রহী থাকুন। ঘরে তৈরি খাবারের ক্ষেত্রে মায়েরা সাধারণত তেল কিংবা কার্বোহাইড্রেটের প্রতি যত্নশীল থাকেন। অর্থাৎ পরিবার এবং নিজের স্বাস্থ্যের যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখেন।
কর্মব্যস্ত মায়েরা এমনিতেই সারাদিন ব্যস্ততার মাঝে কাটান। সকালে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য নাস্তা তৈরি করে বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া তারপর নিজের অফিসে কাজ শেষ করে বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসা। তারপর আবার তাদের খাবার তৈরি করা। এভাবেই কেটে যায় একটি কর্মব্যস্ত মায়ের দিন। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও প্রয়োজন নিজের শরীরের খেয়াল রাখা।
তথ্যসূত্রঃ মাইন্ডবডিগ্রীন
This post was last modified on জানুয়ারী ২৩, ২০২৪ 12:06 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিমেইল বর্তমান বিশ্বে জীবনের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সেটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলো। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড ভাইজান সালমান খানের নতুন ছবি ‘সিকান্দার’ ২০২৫ সালের ঈদে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৃদ্ধার পুত্র কর্মহীন। টাকার জন্য সব সময় অশান্তি করে, মারধরও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৪ আশ্বিন ১৪৩১…