অস্থিরতা দূর করে ধৈর্য্য বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ উপায়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্থিরতার প্রতিষেধক হল ধৈর্য্য। মানবীয় বৈশিষ্ট্যের একটি বড় উপাদান এটি। যে ব্যক্তি ধৈর্য্য ধারণ করতে পারে, জীবনের যেকোন ক্ষেত্রে সে উন্নতি করতে পারবে। কিন্তু অধৈর্য্য মানুষের অধঃপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখন কথা হচ্ছে, স্বভাবগত যারা ধৈর্যশীল নয়, তাদের কি হবে?


ধৈর্য্য শক্তি বাড়ানোর জন্য বর্তমানে অনেক ধরনের মেডিটেশন প্রচলিত আছে। যদিও এগুলোর সাফল্য নিয়ে অনেকে সন্দিহান। এছাড়া কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেয়া সাইকিয়াট্রিস্ট হয়ত ভাল পরামর্শ দিতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় আপনি নিজে। অত্যন্ত গাঢ় ভাবে চাইলে আর আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলে আপনি হতে পারেন ধৈর্য্যশীলদের একজন। আপনি যদি নিজের ধৈর্য্য বাড়াতে চান তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পরামর্শ নিচে দেওয়া হলঃ

ইতিবাচক মনোভাবঃ

ধৈর্য্য ধারণের অত্যন্ত কার্যকর উপায়, জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব রাখুন। এতে হতাশ হয়ে অস্থির আচরণ লোপ পাবে। এছাড়া নিজের ইতিবাচক মানসিকতার কারণেই সামনে কি হবে তা দেখতে আগ্রহী হবেন। যা আপনাকে ধৈর্য্যশীল করবে।

কথা বলুন ভেবেঃ

যেকোন কথা বলার আগে ভেবে নিন কি বলছেন। এতে প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। বলা উচিত হচ্ছে কিনা। এই চিন্তা করার বিষয়টিই ধৈর্য্য। মনে রাখবেন, আপনার বাচন ভঙ্গি বলে দিবে আপনি ধৈর্যশীল কিনা। তাই কথা বলুন ভেবে।

খাবার খান ধীরেঃ

অধৈর্য্য হয়ে দ্রুত খেলে আপনার পরিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিক হয়ে স্থূলতার কারণ হবে। বড় ব্যাপার, এতে আপনার অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। তাই খাওয়া ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। পরিপাক ক্রিয়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কের ক্রিয়া ভাল হবে। নিজের ধৈর্য্য বাড়ানোর যুদ্ধে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন।

Related Post

গুরুত্ব নির্ধারণ করুনঃ

প্রাত্যহিক কার্যাবলীর মধ্যে কাজের গুরুত্ব নির্ধারণ করুন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে এগুলো করার জন্য সংকল্প করুন। সময়মত কাজগুলো সম্পাদন করুন। এতে মনের ভেতরের অস্থিরতা হ্রাস পাবে।

নিজেকে বুঝানঃ

কোন কিছু পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে। এর বিকল্প নেই। এটি যত তাড়াতাড়ি নিজেকে বুঝাতে পারবেন ততই ধৈর্য্যকে গ্রাস করতে পারবেন। এইজন্য মনে মনে ভাবুন, জীবনের সবচেয়ে ভাল অর্জন কি। এটি পাওয়ার জন্য কি আপনাকে অপেক্ষা করতে হয়নি? তবে এখন কেন নয়? অপরদিকে অধৈর্য্য আর অস্থিরতার জন্য যা হারিয়েছেন তা মনের ক্যানভাসে বাঁধাই করে রাখুন।

বাস্তববাদী হোনঃ

বাস্তবতা কঠিন হলেও তা মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। বুঝতে হবে, যা হওয়ার ছিল তাই হয়েছে। যা ভবিষ্যতে হওয়ার, তাই হবে। এ নিয়ে হা-হুতাশ করে লাভ নেই। তবে চেষ্টা করতে হবে ভাল কিছু করার।

নিজের উপর আস্থা রাখুনঃ

যেকোন ব্যাপারে নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে। কোন ভাবেই আস্থা হারানো চলবে না। নিজের উপরেই যদি আস্থা না থাকে তবে ধৈর্য্য হবে ভিনগ্রহের ভাষা। অনেকটা ক্যান্সার হওয়ার পর জ্বর নিয়ে দুশ্চিন্তা করা।

কঠিন কাজে অভ্যস্ত হোনঃ

যে কাজগুলো আপনি কঠিন মনে করছেন না; তা থেকে দূরে না থেকে এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে যান। যা আপনাকে আগে পরে করতে হবে তা এড়িয়ে চলা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

একজন সুন্দর আর আদর্শ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে চাইলে আগে ধৈর্য্য বাড়ান। এজন্য উপরোক্ত বিষয়গুলো অনুশীলন করুন। সবসময় মনে রাখুন, কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে।

This post was last modified on নভেম্বর ২০, ২০১৭ 3:43 অপরাহ্ন

A. B. M. Noorullah

Recent Posts

এখন থেকে বড় পর্দায় দেখা যাবে রাতের স্বপ্ন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…

% দিন আগে

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে