দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) তাদের ল্যান্ডফোনের কলরেট বাড়িয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে লাইন রেন্টও। গত ২৮ অক্টোবর থেকে নতুন এই কলরেট কার্যকর হয়েছে। আর সংস্থার এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা।
তবে সাধারণ গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও নতুন ট্যারিফ কার্যকর হওয়ায় বিটিসিএল’র রাজস্ব আয় বছরে ৭২ কোটি টাকা বাড়বে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, সবগুলো মোবাইল ফোন কোম্পানি গড়ে ৮৪ পয়সা মিনিট রাখছে। অন্য অপারেটরে ১৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। তবে এরপরেও দেশের যে কোনো ফোন কোম্পানি থেকে আমাদের কলরেট কম।’ রাজস্ব আয় বাড়াতেই বিটিসিএল নতুন ট্যারিফ নির্ধারণ করেছে বলেও জানান তিনি।
সমপ্রতি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ নতুন ট্যারিফ অনুমোদিত হয়। নতুন ট্যারিফে (বিটিসিএল থেকে অন্য অপারেটরে) কল রেট ৬৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮০ পয়সা করা হয়েছে। বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল-এর কলরেট অপরিবর্তিত থাকলেও মাসিক লাইন রেন্ট দ্বিগুণ করা হয়েছে।
বিটিসিএল’র ঢাকা চট্টগ্রাম ও খুলনার গ্রাহকদের মাসিক লাইন রেন্ট ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৬০ টাকা, জেলা সদরের লাইন রেন্ট ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ টাকা এবং সব উপজেলার লাইন রেন্ট ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। তবে প্রতিমাসে ৫০ ইউনিট কলরেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১ জুলাই বিটিসিএল’র কলরেট বাড়ানো হয়।
হঠাৎ করে কল ও লাইন রেন্ট বাড়ায় গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে, সবাই যখন কলরেট কমাচ্ছে তখন বিটিসিএল কলরেট বাড়াচ্ছে। আর মিডিয়া এ নিয়ে চুপ করে আছে। একজন গ্রাহক বলেন, ‘লাইন রেন্ট রীতিমতো দ্বিগুণ করা হয়েছে। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এক লাফে এত টাকা লাইন রেন্ট বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়। গ্রাহকের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে তারা গুলি চালাবেন তা হতে পারে না।’
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ‘কলরেট আরো কমানো হয়েছে’ বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আগে বিটিসিএল থেকে বিটিসিএল-এ সব সময়ই কলরেট ছিল ৩০ পয়সা। এখন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৩০ পয়সা রাখলেও রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তা ১০ পয়সা করা হয়েছে।’