দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় এবং রিয়াল মাদ্রিদ এর স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ তাকে কিনে নেওয়া এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি দামের বিনিময়। কিন্তু জানেন কি এই খেলোয়াড়টির শৈশব ছিল বেশ বৈচিত্র্যময়। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের পাঠকদের জন্য ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর অজানা কিছু তথ্য তুলে ধরবো।
১. ছোটবেলায় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পাড়ার ছেলেরা ক্রাই বেবি নামে ডাকতো, কেননা ফুটবল খেলার সময় তার করা পাস থেকে বন্ধুরা গোল না করতে পারলে সে কান্না জুড়ে দিত। এছাড়াও তার আরেকটি নাম ছিল লিটল বি।
২. তার বাবা ছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের ভক্ত। তাই তিনি তার ছেলের নাম রাখেন তার নামের সাথে মিলিয়ে রোনালদো।
৩. রোনালদোর ফুটবলার হিসেবে গড়ে উঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান তার বন্ধু অ্যাল্বার্ট ফ্যান্ত্রাও। পর্তুগালের ক্লাব ফুটবলার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনি নিজে গোল না দিয়ে তার বন্ধু রোনালদোকে পাস দেন তার ফলে রোনালদো গোল করে পর্তুগালের ক্লাবে খেলার সুযোগ পায়।
৪. স্যার অ্যালেক্স ফারগুসনের খুব প্রিয় ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তিনিই পর্তুগালের ক্লাব থেকে তাকে তুলে আনেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্লাবে। ২০০৩ সালে রোনালদো যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
৫. রোনালদো লিসবনের ক্লাবে ২৮ নাম্বার জার্সি পড়ে খেলতেন। ম্যানইউতে যোগ দেওয়ার পর তাকে দেওয়া হয় ডেভিড বেকহামদের ৭ নাম্বার জার্সি। তারপর থেকে ক্লাবে তার পরিচিতি হয়ে দাঁড়ায় সিআর ৭।
৬. ২০০৯ সালে প্রায় ৮০ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ৬ বছরের কিনে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। এখানেও তার জার্সি নাম্বার হয় ৭। ২০১০-২০১১ মৌসুমে ক্রিস্টিয়ানো ৫৪ ম্যাচে ৫৩ গোল করেন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেন সবগুলো লীগ।
৭. ২০০৩ সালে পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের যাত্রা শুরু করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার পরের বছর ২০০৪ সালে তিনি পর্তুগালের অধিনায়কত্ব পান।
৮. রোনালদোর অসাধারণ ড্রিবলিং আর ক্ষিপ্রগতি তাকে অল্পদিনেই পরিচিত করে তোলে। তাকে নিয়ে ক্যাস্ট্রোল এজ নামের একটি কোম্পানী তৈরি করে ডকুমেন্টারী। ডকুমেন্টারির নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোঃ টেস্টেড অব লিমিট। ডকুমেন্টারীতে দেখা যায় রোনালদোর ফ্রি-কিকের গতি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার। যা অ্যাপোলো ১১ রকেটের গতির চেয়েও বেশি।
৯. ২০১৩ সালে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো লাভ করেন ফিফা ব্যালন ডি অর ট্রফি। এর আগে তিনি ২০০৮ সালে আরেকবার এই পুরুস্কার জয় করেন।
১০. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার জন্মস্থান পর্তুগালের মাদেইরা দ্বীপে তৈরি করেছে একটি জাদুঘর। তার খেলার জীবনের সকল প্রাপ্তি এবং পুরুস্কার যেন সহজেই ভক্তরা দেখতে পান এইজন্যই তিনি এটি নির্মাণ করেন। মাদাম তুসো জাদুঘরে তার মোমের মূর্তি রয়েছে।
This post was last modified on জুন ২৩, ২০১৪ 4:50 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি দুধ কোন সময় খাচ্ছেন ও কতোটুকু খাচ্ছেন, তা জানা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং এন্ড কলিং প্ল্যাটফর্ম হলো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নুহাশের চলচ্চিত্র মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। আর সেই চলচ্চিত্র ‘বেসুরা’য়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজার মতোই অধিকৃত পশ্চিম তীরকেও ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতে চাই ইসরায়েলি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সোনা ভেবে রাস্তা থেকে পাথর কুড়িয়ে এনেছিলেন এক ব্যক্তি। ১৫…