ফুটবল বিশ্বকাপের পেছন ফিরে দেখা

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে সারা দেশ কাঁপছে উত্তেজনার জোয়ারে। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক ইতিহাস এবং আগের আসর সমূহে কি কি হয়েছে তা জানেন না। চলুন এক নজরে পেছন ফিরে দেখে নেয়া যাক বিশ্বকাপের ইতিহাস।


শুধুমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর কারণে ১৯৪২ এবং ১৯৪৬ এই ২টি বিশ্বকাপের আসর বসেনি। প্রত্যেক আসরেই কে হবে চ্যাম্পিয়ন- এই নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের মধ্যে চলে মাতম।

১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক উরুগুয়ে। এবং দ্বিতীয় বিশ্বকাপও ১৯৩৪ সালেও এই একই ঘটনা ঘটিয়ে বসে স্বাগতিক দেশ ইতালি। এর পরই ঘটনা চলতে থাকে ভিন্ন খাতে অর্থাৎ নিজেদের মাঠে নিজেদের দেশের সাপোর্ট বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বের কিন্তু এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৭টি বিশ্বকাপের মধ্যে মাত্র ৬ বার কাপ জিতেছে স্বাগতিকরা। আর বাকি ১১ বারই কিন্তু অন্য দেশ কাপ নিয়ে গেছে স্বাগতিকদের দেশ থেকে। যে ছয়টি দেশে স্বাগতিক হিসাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তারা হলোঃ ১৯৩০-এ উরুগুয়ে, ১৯৩৪-এ ইতালি, ১৯৬৬-তে ইংল্যান্ড, ১৯৭৪-এ পশ্চিম জার্মানি, ১৯৭৮-এ আর্জেন্টিনা এবং ১৯৯৮-তে ফ্রান্স।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৩৮

বিগত শতাব্দীর তৃতীয় বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন খেতাব পায় ফ্রান্স। আর রানার্স আপ হয় ইটালি। খেলা অনুষ্ঠিত হয় মোট ১৮টি। মোট গোলের সংখ্যা ৮৪টি এবং ব্যক্তিগত ৮টি গোলের রেকর্ড হয় ১৯৩৮ সালের বিশ্বকাপে। পনেরটি দেশ এই বিশ্বকাপে অংশ নেয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের কারণে ১৯৩৮ সালের ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর।

Related Post

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৫০

১৯৫০ বিশ্বকাপ থেকে বিশ্বকাপ ট্রফির নাম বদল হয় ‘জুলেরিমে কাপ’। এই বিশ্বকাপটির বিশেষত্ত্ব ছিল এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পৃথিবীর সব দেশের জন্যই উন্মুক্ত ছিল। এর কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে ১৯৩৮ সালের পর ১২ বছর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বিশ্বকাপের আসর। ফলে ১৯৫০ সালের আসরে ফিফা দলই খুঁজে পাচ্ছিলনা। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে খেলতে সুযোগ পেয়ে ব্রাজিল পর্যন্ত গিয়েছিল ভারতও। কিন্তু খালি পায়ে খেলার আবদার তোলায় ভারতের আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি।

এই বিশ্বকাপ আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল এই যে, কোন সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালের ব্যবস্থা ছিল না। ৪ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ৪ দল অংশ নেবে ফাইনাল রাউন্ড। এই রাউন্ডের প্রত্যেকে প্রত্যেকের সাথে মুখোমুখি হবে একবার করে। অর্থাৎ সবার জন্য সমান ৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ। এই ৩ ম্যাচের পয়েন্টের ভিত্তিতেই হবে যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ান, রানার্সআপ, তৃতীয় ও চতুর্থ।

১৯৫০ এর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে, মোট ১৩টি দল অংশ নেয়; মোট ম্যাচ ২২ টি, গোলের সংখ্যা-৮৮টি; ৭ গোল আদোমিয়(ব্রাজিল)। এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনাটি ছিল তা হলো, উরুগুয়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে ব্রাজিল হেরে যাওয়ায় হার্ট এটাক করে মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক ব্রাজিলিয়ানের।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৫৪

১৯৫৪ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করে সুইজারল্যান্ড। এবছর ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহণ করে। ১৬টি দল ৪টি গ্রুপে খেলে। এই বিশ্বকাপে কোয়াটার ফাইনালে ব্রাজিল-হাঙ্গেরীর খেলাটি শারীরিক শক্তি প্রয়োগের এক বীভৎস রূপ লাভ করায় ‘বর্ণের যুদ্ধ’ হিসাবে কুখ্যাত হয়ে আছে। খেলাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রেফারিকে ৩টি লাল কার্ড ও ২টি পেনাল্টি দিতে হয়। খেলার পরও নাকি দু’দলের খেলোয়াড়রা মারামারি করেছেন।

ফাইনালে হাঙ্গেরিকে সম্পূর্ণ নতুন এক জার্মান দলের মুখোমুখি হতে হয়। অসুস্থতা সত্ত্বেও পুকাস এদিন মাঠে নামেন। ফাইনালের প্রথম ৮ মিনিটের মধ্যেই হাঙ্গেরির পুসকাস ও বিজরের গোলে ২-০ তে এগিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছিল। কিন্তু জার্মানীরাও অন্য এক ম্যাচ খেলে শেষ পর্যন্ত ৩-২ জিতে এই বিশ্ব কাপটি। হাঙ্গেরির বিস্ময় পুসকাস ১১টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা কৃতিত্ব দেখান।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৬৬

১৯৩৪ সালের পর স্বাগতিক দেশ কাপ জয়ের কৃতিত্ব দেখায় দীর্ঘ ৩২ বছর পর। ১৯৩৪ সালে ইতালি এর আগে দেশের মাটিতে কাপ জয়ের অনন্য কৃতিত্ত দেখিয়েছিল। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো জুলেরিমে ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পায়।

এবারো ব্রাজিল ছিল টপ ফেভারিট। তবে বিশ্বকাপে ব্রাজিল, ঠেকাও আন্দোলন বেশ জোরদার ছিল। পরপর দু’বার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে টেকানোর জন্য সব দলই উঠে পড়ে লাগে বিশেষ করে পেলেকে আটকে দেয়ার পরিকল্পনা চলতে থাকে। প্রথম খেলাতেই বুলগেরিয়ার বিরুদ্ধে আহত হতে হয় পেলেকে। গ্রুপের শেষ খেলায় পুর্তগাল আবারো পেলেকে আহত করে। রেফারি তা এড়িয়ে যায়। ফলে ব্রাজিল এই প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায়।

অপর ফেভারিট পঃ জার্মানী অবশ্য ফাইনাল পর্যন্ত ওঠে। ফাইনালে পঃ জার্মানী ও ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলায় ২-২ গোলে সমতায় থাকে। ফলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। ইংল্যান্ডের থার্স্ট অতিরিক্ত সময়ে ২টি গোল করে দেশকে শিরোপা পাইয়ে দেন। এই কিশ্বকাপে আরও মজার যে ঘটনাগুলি ঘটে তাহলো ইংল্যান্ডের তৃতীয় গোলটি, গোল লাইন অতিক্রম না করলেও রেফারি গোল দিয়ে দেন। জার্মানীদের চাপের মুখে রেফারি মাথা নত করলেও ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।

ফাইনাল শেষ হওয়ার সাথে সাথে সূচিত হয় আরেক কলঙ্কময় অধ্যায়। উধাও হয়ে গেল ‘জুলেরিমে’ কাপটি। সবকিছুতেই সমালোচনায় জর্জরিত হলো ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত পিকলস নামে একটি কুকুর সেই ‘জুলেরিমে’ কাপ উদ্ধার করে নিয়ে আসে নরওয়ের একটি বাগান বাড়ি থেকে। পুর্তগালের ইউসেবিও প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড় হয়, তিনি মোট ৯টি গোল করেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৭০

১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের আসর বসেছিল মেক্সিকোতে। এ আসরে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন ও ইটালি রানার্স- আপ হয়। এ আসরে নান্দনিক ফুটবলের জনক নামে খ্যাত ব্রাজিল অনন্য এক রেকর্ড গড়ে।

১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল ১৯৭০ সালের আসরেও চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনবার বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়ে একমাত্র দল হিসেবে সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে চিরতরে ‘জুলেরিমে’ ট্রফি চিরদিনের জন্য নিজের ঘরে তোলে ব্রাজিল।

১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের মূল তারকা ছিলেন পেলে ও প্যারিঞ্জা। পেলে গ্যাবিঞ্জাদের নিয়ে গড়া ১৯৭০ আসরের ব্রাজিল দলের ছন্দময় ফুটবলপ্রেমী মুগ্ধ করে সবাইকে। ফাইনালে ইটালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। পশ্চিম জার্মানির গার্ড মূলার সর্বোচ্চ ১০ গোল করে গোল্ডেনবুট পুরস্কার পান।

এ আসরে ইংল্যান্ড দলে ন্যাক্কারজনক এক ঘটনা ঘটে। মদ্যপান, চুরিও অশালীন আচরণের অভিযোগে ইংল্যান্ড তারকা ববি মুরকে গ্রেপ্তার করে মেক্সিকো পুলিশ। এ ছাড়াও ১৯৭০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, স্পেন ও পুর্তগালের মতো বিশ্বসেরা দলগুলোর আসরে সুযোগ না পাওয়ার ঘটনা। বাছাই পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায় এ সেরা চার দল। অন্যদিকে ১৯৭০ বিশ্বকাপ আসরে অভিষেক হয় ইসরাইলের।

দশম বিশ্বকাপ – ১৯৭৪

তিনবার বিশ্বকাপ জেতার ব্রাজিল চিরতরে ‘জুলেরিমে’ কাপ নিয়ে যাওয়ার দশম বিশ্বকাপ আয়োজনের আগেই একটি নতুন কাপ তৈরির প্রয়োজন পড়ে। ফিফা একটি নতুন কাপ তৈরী করে। নতুন কাপের নামকরণ করা হয় ‘ফিফা কাপ’। এ বছর কাপ বদলের সাথে সাথে ফিফার সভাপতিও বদল হয়। স্যার স্ট্যানলি রাউসের ১৩ বছরের দায়িত্ব পালনের পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ব্রাজিলের জোয়াও হ্যাভেলাঞ্জ। এ সময় আরো একটি সিদ্ধান্ত হয়- কোন দেশ তিনবার বা তারও বেশি চ্যাম্পিয়ন হলেও কাপটি চিরতরে নিতে পারবে না।

এই বিশ্বকাপে স্বাগতিক পশ্চিম জামার্নির সেরা বাজি হিসেবে খেলে। পশ্চিম জার্মানী ছাড়াও হল্যান্ড ও পোল্যান্ড নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। হল্যান্ডের কোচ রিনাস মিশেল ফুটবলের ইতিহাস ‘টোটাল ফুটবল’ নামক এক নতুন ধরনের খেলা উদ্ভাবন করে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন। পুরো দলকেই একই সঙ্গে আক্রমণ ও রক্ষণ করার দূরুহ কাজটি অনুপম দক্ষতার সম্পন্ন করল দলটি।

পশ্চিম জার্মানীর অধিনায়ক বেকেনবাওয়ার হল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম ফিফা কাপ জয়ের অনন্য কৃতিত্ব দেখান। সেই সাথে পঃ জার্মানীর পরিচ্ছন্ন সুন্দর খেলার জন্য পায় ‘ফেয়া পে-‘ ট্রফি। হল্যান্ডের লটো ৭টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার খ্যাতি অর্জন করেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৭৮

প্রথম বিশ্বকাপেই শিরোপার কাছে মাত্র এক ম্যাচের দূরত্বে চলে এসেছিল আর্জেন্টিনা। সেই একটি মাত্র ম্যাচের দূরত্ব ঘোচাতে লাগল ৪৮ বছর। ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত একাদশ বিশ্বকাপ পর শিরোপা জিতে দীর্ঘদিনের অতৃপ্তি ঘোচায় আর্জেন্টিনা। সেই সাথে নিজেদের দাঁড় করায় ফুটবলের আরেক পরাশক্তি হিসেবে।

এই বিশ্বকাপে নিয়ে আর্জেন্টিনারাও অত বেশি আশাবাদি ছিল না। কারণ তাদের প্রিয় খেলোয়াড় বিস্ময়বালক ডিয়োগো ম্যারাডোনাকে যে দলে নেননি কোচ লুই সিজার মেনেত্তি। বয়স কমের অজুহাতে ১৮ বছরের ম্যারাডোনাকে না নেওয়াতে কোচের ওপর দারুণ খেপেছিল সমর্থকরা। বিশ্বকাপ জয় শেষে এই কোচই অবশ্য জাতীয় বীর। ম্যারাডোনা নেই, তাতে কি হয়েছে? আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ তো জিতেয়েছেন তিনি।

ফাইনালে আর্জেন্টিনা নির্ধারিত সময়ে নেদারল্যান্ডের সাথে ১-১ গোলে অমিমাংসিত ভাবে খেলা শেষ করে। ফলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ক্যাম্পোসের আরেকটি গোলের সাথে সাথেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৮২

দ্বাদশ বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পায় স্পেন। জাঁকজমকপূর্ন ও নয়নাভিরাম উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বার্সিলোনায়। হ্যাভেলাঞ্জ ফিফার সভাপতি হবার পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহন করে। বাছাইপর্বে অংশ নেয় সর্বাধিক সংখ্যক ১০৬টি দেশ। অংশগ্রহনকারী ২৪টি দলকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। লীগ ভিত্তিতে খেলা হয়। প্রতি দলের শীর্ষ ৪দল সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। বার্সিলোনায় বর্ণাঢ্য উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান বেশ জাঁকজমকপূর্ণ হয়। ৫০ মিনিট ধরে চলে এ অনুষ্ঠান।

পশ্চিম জার্মানী ও ফ্রান্সের মধ্যে সেমিফাইনালটিকে শতাব্দীর সেরা খেলা বলা যায়। ১২০মিনিটেও খেলার ভাগ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। অপেক্ষা টাইব্রেকারের। তাতেও কোনো ফয়সালা হলো না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে খেলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় সাডেন ডেথ পথকেই বেছে নিতে হয়। উত্তেজনায় ঠাসা ও ম্যাচে পঃজার্মানী ৮-৭ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে। অপর সেমিফাইনালের দারুণ খেলল ইতালিয়ানরা পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ইতালির সোনার ছেলে পাওলো রসি সব দায়িত্ব একাই কাঁধে নিয়ে দুটি গোল করলেন। নৈপন্যে ম্যারাডোনা জিকো, প-তিনি, রুমেনিগেকে ছাড়িয়ে গেলেন রসি।

ব্রাজিলের জিকো, সক্রেটিস, ফ্রান্সের প-াতিনি, পঃজার্মানীর রুমেনিগে, ব্রিটনার যা পারেনি তাই করলেন পাওলো রসি। অনেকটা অপ্রত্যাশিত হলেও রসি ইতালিকে বিশ্বকাপ পাইয়ে দেন। ইতালি এ বিশ্বকাপে ফেবারিট ছিল না। ম্যাচ জুড়ে পঃ জার্মানীর রুমেনিগে, ব্রিটনার, ফিমার আধিপত্য বিসত্মার করলেও ইতালি দ্বাদশ বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতল ৩-১ গোলে। ৪০ বছর বয়স্ক ইতালির গোলরক্ষক অধিনায়ক দিনো জফ জেতেন দ্বাদশ বিশ্বকাপ।

প্রতিটি বিশ্বকাপে একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী এবং অন্যন রেকর্ডধারী দেশ ব্রাজিল। ছন্দ, শৈল্পিকতার অপূর্ব নিদর্শন ব্রাজিলের ফুটবলে। তাই সারা পৃথিবীর সিংহভাগ সমর্থকপূষ্ঠ এই দেশটির খেলা দর্শকদের আকৃষ্ঠ করে। একমাত্র দেশ ব্রাজিল যারা পাঁচবার বিশ্বকাপ তাদের ঘরে তুলে নিয়েছে। এই ব্রাজিল দলেই জম্ম হয়েছে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারদের। যেমন গারিঞ্জা পেলে, জিকো, সক্রেটিস, রোমারিও, রোনাল্ডো, রোলান্ডদিনহোর মতো বিখ্যাত সব ফুটবলারদের।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৮৬

বিশ্বের অন্যতম ফেবারিট আর্জেন্টিনা জন্মলগ্ন থেকে প্রায় ৫০ বছর পর ১৯৭৮ সালে প্রথম এবং ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় বারের মত বিশ্বকাপ পায়। ম্যারাডোনার মতো বিশ্ব সেরা ফুটবল তারকা পৃথিবীতে খুব কমই জন্ম নেয়। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ডিয়োগো ম্যারাডোনার অবদানের জন্যই ১৯৮৬ সালে আবারও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় এই ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। ফুটবল ৯০ মিনিটের খেলা। কোনো এক মূহূর্তের ভুলের জন্য চরম খেসারত দিতে হয়। তাই বেশ কয়েকবার চ্যাম্পিয়নের দ্বার প্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে এই তারকা সমৃদ্ধ দেশটি। এই বিশ্বকাপে আর একটি দলের কথা না বললেই নয়, সেই দেশটি ডেনমার্ক। নতুন ধরনের ফুটবলে তারা চমক দিয়েছিল বিশ্বকে। স্কটল্যান্ডকে ১-০ উরুগুয়েকে ৬-১ এবং পশ্চিম জার্মানীকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের চমক হিসাবে আবিভূর্ত হয় তারা। তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের কাছে ১-৫ গোলে হেরে আকাশ থেকে বিলাপ করে মাটিতে পড়ে ডেনিশরা।

ফুটবলের এই আসরেই অমরত্বের পথে যাত্রা শুরু ম্যারাডোনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে ম্যাচে আলোচিত দুটি গোল। একটি সেরার সেরা, অন্য ১টি প্রবল বিতর্কিত। হাত দিয়ে করা সেই গোলটিকে ‘ঈশ্বরের হাত’- এর গোল হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ম্যারাডোনায় স্বয়ং। ইংল্যান্ডের ছয়জন ডিসেম্বায় এবং গোলরক্ষক পিটার মিলটনকে কাটিয়ে যে গোলটি করেন তিনি, ফুটবল ইতিহাসে এর দ্বিতীয় কোনো তুলনায় খুঁজে পাওয়া ভার। সেমিফাইনালেও ২-০ গোলে হারিয়ে দিল বেলজিয়ামকে। গোল দুটিই করেন ম্যারাডোনা। ফাইনালে কোন গোল করেননি, কিন্তু তার পাস থেকেই দলের তিনটি গোলের দু’টি। যার মধ্যে আছে জয়সূচক গোলটিও। এই বিশ্বকাপের আলোচনায় ম্যারাডোনার আগে আর কার নাম আসবে?

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৯০

বিশ্বকাপের এই আসরটি বসে ফুটবলের আরেক পরাশক্তি ছন্দময় ফুটবলের দেশ ইটালিতে। মোট খেলা অনুষ্ঠিত হয় ৫২টি। মোট গোলের সংখ্যা ১১টি। টপ স্কোরার সর্বোচ্চ ৬টি গোল করেন। পশ্চিম জার্মানী তৃতীয় বারের মত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হবার গৌরব অর্জন করে ইটালির এই আসরে। সিলাচী ব্যক্তিগত ৬টি গোল করে গোল্ডেন বুট পাওয়ার খেতাব অর্জন করে।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৯৪

১৯৯৪ বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল যুক্তরাষ্ট্র। অনেক ঘটনা, দূর্ঘটনা ও নাটকীয়তার সাথী এ আসর। আর্জেন্টাইন লিজেড দিয়েগো ম্যারাডোনাকে ডোপিংয়ের অভিযোগ বাদ দেয়ার আরো বেশী আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপে একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী এবং অনন্য রেকর্ডধারী দেশ ব্রাজিল। ছন্দ, শৈল্পিকতার অপূর্ব নির্দশন ব্রাজিলের ফুটবলে। তাই সারা পৃথিবীর সিংহভাগ সমর্থকপূষ্ঠ এই দেশটির খেলা দর্শকদের আকৃষ্ঠ করে। এই ব্রাজিল দলেই জন্ম হয়েছে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারদের। যেমন গারিঞ্জা, পেলে, জিকো, সক্রেটিস, রোমারিও, রোনাল্ডো, রোনালদিনহোর মত বিখ্যাত সব ফুটবলাদের। এ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। কোচ ছিলেন কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা। আর ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ান করার মূল নায়ক ছিলেন স্ট্রইকার রোমারিও। অভিজ্ঞ ও চতুর ফরোয়ার্ডের কাঁধে ভর করেই কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল। কিন্তু শিরোপা জয়ের মূল নায়ক রোমারিওকে দলেই নিতে চাননি কোচ পেরেইরা।

শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের অনুরোধ ও চাপের মুখে রোমারিওকে দলে সুযোগ দিতে বাধ্য হন পেরেইরা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের সঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার সুযোগ হয় তাঁর। রাশিয়ার বিপক্ষের রোমারিওর করা গোল ব্রাজিলকে ২-০ গোলের জয় এনে দেয়। কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ডাচ দলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে ব্রাজিল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ ৮০ মিনিটে রোমারিও গোল করে ব্রাজিলকে ফাইনালে তোলেন। এরপর তো ইতালির বিপক্ষে ফাইনালের নাটকে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয় হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্রাজিল।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ১৯৯৮

১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের আসরটি বসে ফ্রান্সে। এই আসরে অনেক ঘটনাই ঘটে। একটি বিশ্বকাপে ৫৮টি গোল হয়। সর্বোচ্চ ১৩টি গোল করেন জাস্ট কন্টেইন, তিনি ফরাসীর অধিবাসী। স্বাগতিক দেশ ফ্রান্স, চিন্তায় চেতনায়, ধ্যানে ও জ্ঞানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় এই দেশটিতে অলিম্পিকের রুপকার পিয়েরে দ্য কুববার্তা এবং বিশ্বখ্যাত ফুটবলার জিনেদিন জিদানের জন্মও এই ফ্রান্সে।

এই বিশ্বকাপে ৩২ দেশ মূলপর্বে অংশ গ্রহণ করে। আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শক্তি পরীক্ষার নামে। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দল দ্বিতীয় রাউন্ডে অর্থাৎ পি-কোয়াটার ফাইনালে নক আউট পদ্ধতিতে লড়াই এ অংশ নিয়ে কোর্টার, সোমিং ও ফাইনালে প্রবেশ করে।

সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিশাল জয়ের মধ্যেই একটি দুঃখ ছিল তাদের তা হলো শীর্ষ খেলোয়াড় জিনেদিন জিদানকে লালকার্ড দেখানো। কোয়ার্টার ফাইনালে ট্রাইব্রেকারে তৃতীয় বারের মতো হেরে বিদায় নিতে হয়। ইতালিকে, ১২০ মিঃ ফ্রান্স বা ইতালি কোন পক্ষই গোল করতে না পারায়; গত বিশ্বকাপের শেষ ঘটে।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ২০০২

এশিয়ার বুকে প্রথম বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। শতাব্দীর প্রথম সহস্রাব্দেরও প্রথম এই আয়োজনটি ছিল অত্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে বাছাই পর্বে সর্বোচ্চ যোগ দেয় ১৯৮টি দেশ। মূলপর্বে ৩২টিই। প্রতি গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স নিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে শেষ অবধি নক আউট পদ্ধতিতে সমাপ্তি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে প্রথম খেলা ও ফাইনাল ম্যাচ ৩০ জুন জাপানের ইয়াকোহামায় অনুষ্ঠিত হয়। ১ম সেমিফাইনালে জার্মানী স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়াতে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়। মাইকেল বালাক বিজয় সূচক গোলটি করেন(১-০)। জার্মানীর অভিজ্ঞতায় কাছে কোরিয়ার হার হয়। জাপানের সাইতামায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাজিলও ১-০ গোলে তুরস্ককে হারিয়ে উঠে পরপর তিনবার তারা ফাইনালে উঠে।

জাপানের ইয়োকোহামায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্রাজিল ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বজয়ী হয় পঞ্চমবারের মতো। দুটি গোলই করেন রোনান্ডো। টুর্নামেন্টে ৮টি গোল করে সর্বোচ্চ গোল দেবার সম্মান পান।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ২০০৬

জার্মানীতে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপে সবাই ধরেই নিয়েছিল শক্তিশালী জার্মানীরা তুলে নিবে বিশ্বকাপ। কিন্তু তারা সেমিফাইনালেই বিদায় নেয়। ফ্রান্স ও ইতালীর ফাইনালটি ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল উপাধি প্রাপ্ত ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান খেলার বাইরে হেড বাট দেয়ার জন্য রেডকার্ড পেয়ে বেরিয়ে যান। ১০ জন নিয়ে খেলে ফ্রান্স পেনাল্টি স্যুটে ইতালীর কাছে হারে ৫-৩ গোলে (১-১) বার্লিনের এই ফাইনালে। ইটালীর এটা চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপ জেতা। জার্মানীর মিরোস্লাভ ক্লোস ৫টি গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পান।

বিশ্বকাপ ফুটবল – ২০১০

এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১১ জুন থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিশ্বকাপের এই আসরটির আয়োজক দেশ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৭ সালের আগস্ট মাস থেকে এই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য ৩২টি দল নির্বাচনের লক্ষ্যে ফিফার ছয়টি মহাদেশীয় কনফেডারশনগুলোতে বাছাইপর্ব শুরু হয়। এই বাছাইপর্বে ফিফার মোট ২০৮টি সদস্য দেশের জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের মধ্যে ২০৪টি দল অংশ নেয়। জার্মানিতে ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ইতালি এই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই শুরু করে। এই বিশ্বকাপের সর্বশেষ ড্র অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ৪ ডিসেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে।

বিশ্বকাপের এই আসরের শিরোপাধারী দল হচ্ছে স্পেন। ফাইনালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেন তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে আসা নেদারল্যান্ডসকে ১–০ গোলে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ের খেলার শেষ দিকে স্পেন আন্দ্রেজ ইনিয়েস্তার জয়সূচক গোলে নেদারল্যান্ডসকে পরাজিত করে। সেই সাথে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় স্পেন।

সূত্রঃ উইকিপিডিয়া

This post was last modified on জুন ২১, ২০১৪ 4:06 অপরাহ্ন

Zia

"বাপের টাকার হিসেবে বড়লোক, নিজের টাকার হিসেবে গরীব। আল্টিমেট আমি নিজেকে গরীব ভাবি। কারণ বাবার টাকায় ফুটানি মারিনা।"

Recent Posts

আপনি কী জনেন দিবানিদ্রার অভ্যাসে বাড়তে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দিনের বেলায় ঘুমানোকে আমরা ভাত ঘুম বলে থাকি। তবে দিনের…

% দিন আগে

ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ সেশনের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিপিএস এসটিএস সিনিয়র স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছে ডিপিএস এসটিএস স্কুল…

% দিন আগে

এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩: ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেলো আইফার্মার

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক অ্যান্ড চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩- এর…

% দিন আগে

দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ছোটবেলার ছবি: বলুনতো এটি কে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি দেশের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রীর ছোটবেলার…

% দিন আগে

ওয়ারেন্ট ঠেকাতে মরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের…

% দিন আগে

ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঁচি: কেবলমাত্র বুদ্ধিমানেরাই ৩০ সেকেন্ডে খুঁজে বের করতে পারবেন!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি কাঁচি। তবে এই কাঁচির প্রতিকৃতিটি এই…

% দিন আগে