দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলে। হয়তো দেখা গেল আপনার সাথেও কেউ না কেঊ প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে যাচ্ছে, যা আপনি বুঝতেও পারছেন না। তবে কিছু কিছু ব্যাপার আছে যার দিকে লক্ষ্য রাখলে আপনার পক্ষে বোঝা সম্ভব যে কেউ আপনার সাথে মিথ্যা বলার চেষ্টা করছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনি বুঝতে পারবেন যে কেউ আপনার সাথে মিথ্যে বলছে কিনা?
১. আপনার সাথে মিথ্যা বলছে এমন কেউ সরাসরি আপনার চোখের দিকে তাকাবে না, অথবা এত বেশিবার তাকাবে যে আপনার নিজের কাছেই ব্যাপারটা অস্বাভাবিক লাগবে। মিথ্যা বলার সময় মানুষ সাধারণত যার সাথে মিথ্যা বলা হচ্ছে তার চোখের দিকে তাকায় না। নিচের দিকে অথবা আশে পাশে তাকায়। কারণ তাদের ধারণা, তাদের চোখ দেখলেই আপনি বুঝে ফেলবেন যে তারা মিথ্যা বলছে।
২. যারা মিথ্যে বলে তারা বেশিরভাগ সময় দ্বিধাবিভক্তিযুক্ত প্রশ্নগুলোর ক্ষেত্রে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় পড়ে যায়। এই সকল ক্ষেত্রে তাদের কোন একটি প্রশ্ন করা হলে তারা উল্টো প্রশ্ন করে।
৩. মিথ্যা বলার সময় মানুষের ভেতরে একটি অন্যরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য তারা হাত আড়াআড়ি করে ভাজ করে রাখে বুকের কাছে, অথবা পকেটে হাত ঢুকিয়ে রাখে। অনেকেই আছে যারা মিথ্যা বলার সময় চোখের পলক ফেলে ঘন ঘন, আঙ্গুল মোচড়ায়, চুল বা নাকে হাত দেয়, অথবা হাতের কাছে কোন জিনিস থাকলে সেটা নিয়ে অস্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করে।
৪. মিথ্যাবাদীরা সাধারণত কথা অনেক লম্বা করার চেষ্টা করে। যে কথাটা দুই এক লাইনেই শেষ করা যায় তার সেটাকে টেনে লম্বা করে দশ বিশ লাইন। তার গল্প বানায়, বেশি কথা বলতে শুরু করে। কারণ তাদের ধারণা, অনেক বেশি বর্ণনা করলে তাদের কথা আপনার কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হবে।
৫. আমাদের চেহারার অভিব্যক্তি বা ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন এর উপর অনেক সময়ই আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। কারো সাথে কথা বলার সময় খেয়াল রাখুন তার চেহারার অভিব্যক্তির দিকে। সাধারণত এসব চেহারার অভিব্যক্তি খুবই স্বল্প সময় এর জন্য হয়ে থাকে। তাই এগুলোকে মাইক্রো এক্সপ্রেশন বলা হয়। হয়তো হালকা হাসির রেখা, অথবা ভীত দৃষ্টি যার স্থায়িত্ব ২-৩ সেকেন্ড। এগুলো আমাদের চোখে অনেক সময় না ও পড়তে পারে যদিও আপনি কারো চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকেন কথা বলার সময়। কিন্তু আমাদের অবচেতন মন আমাদের সতর্ক করে দেয়।
৬. যদি আপনার সন্দেহ হয় কেউ আপনার সাথে মিথ্যা বলছে তাহলে তাকে প্রশ্ন করুন। বার বার একই প্রশ্ন করতে থাকুন কিছু সময় পরপর। এবং মেলানোর চেষ্টা করুন আগের বলা কথার সাথে এখনকার বলা কথার মিল আছে কি না? বক্তাকে উৎসাহ দিন যতটা সম্ভব বিস্তারিত বলার। কারণ যে মিথ্যা বলছে সে এখন যা বলবে, তার পরের দিন যদি একই কাহিনী বলার চেষ্টা করে তাহলে আপনি অবশ্যই সে কাহিনীতে অনেক নতুন জিনিস খুঁজে পাবেন, অথবা অনেক লাইন হারিয়ে যাবে যা সে আগের দিন বলেছিলো।
This post was last modified on জুলাই ১৪, ২০১৪ 2:31 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোজ়ের যখন বয়স মাত্র ৬ মাস বয়স, তখন তাকে বাড়ি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে মুক্তি পেতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২ মাঘ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে চামড়ায় টান ধরা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে সমস্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অসতর্কতাবশত: হাত থেকে পড়ে গেলেও ফোনের বিভিন্ন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমাতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করা যাবে না, কারণ তাড়াহুড়া করলেই…