এম. এইচ. সোহেল ॥ সেই ১৯৯০ সালের কথা। বিশ্বখ্যাত ম্যারাডোনার দল আর্জেন্টিনা ও তৎকালীন পশ্চিত জার্মানি মুখোমুখি হয়েছিলেন ফাইনালে। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন ফুটবলের কিংবদন্তি ম্যারাডোনা। সেই জার্মানির মুখোমুখি হবে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা। ম্যারাডোনার সেই কান্নার কি প্রতিশোধ নেবে মেসির আর্জেন্টিনা?
সেদিনের খেলার কথা এই প্রজন্মের কারো মনে থাকার কথা নয়। কারণ সেটি ছিল ২৪ বছর আগের কাহিনী। এখনকার অনেকেরই হয়তো জন্মই হয়নি। সেদিনের ফাইনাল ম্যাচ হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ জুলাই। ইটালির রোমের স্ট্যাডিও অলিম্পিকো। দুই চিরচেনা প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা এবং তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। আগের বিশ্বকাপ ১৯৮৬ এর যাদু দেখানো ডিয়েগো ম্যারাডোনার সামনে আরেকটি অতিমানবীয় কীর্তি ঘটানোর সুবর্ণ সুযোগ। ৪ বছর আগের ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও পশ্চিম জার্মানি। সেবারের মেক্সিকোতে এই ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাই কাপ থেকে বিমুখ করেছিল জার্মানদের। ট্রফি তুলে ম্যারাডোনার সেই ভুবন ভোলানো উচ্ছ্বাসের ছবি হয়ে গেলো আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতীক। শুধু আর্জেন্টিনা নয় সমগ্র বিশ্বজোড়া এক ইতিহাস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের লক্ষ-কোটি ভক্ত সেদিন থেকেই ম্যারাডোনা তথা আর্জেন্টিনার ভক্তে পরিণত হলো। ইতালিতে তাই জার্মানরা খেলতে নেমেছিল প্রতিশোধের মিশন নিয়েই। ফুটবল ইতিহাসে একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা বলে স্বীকৃত হয়ে আছে সেই ম্যাচ। সেদিন আর্জেন্টিনাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল। অবশ্য এর পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। যেগুলোকে অনেকেই ষড়যন্ত্র বলেও অভিহিত করেন।
ওই ম্যাচের আগেই আর্জেন্টিনা শিবিরে দুঃসংবাদ। তাও একটা নয় একাধিক হলুদ কার্ড এবং ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৪ খেলোয়াড়। ম্যাচের সময়েও আসে এমনসব বিপদ। ৬৫ মিনিটে পেদ্রো মনজোন লালকার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপরও দাপটের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। কিন্তু রেফারি এডগার্ডো কডেসালের একের পর ভুল সিদ্ধান্তের বলি হতে হয় আর্জেন্টাইনদের। কারণ তখন আধুনিক ক্যামেরার কারুকার্য এখনকার মতো ছিল না। আর তাই ম্যারাডোনাদের জন্য লড়াইটা থেমে গেল ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে। রেফারির বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গেলো জার্মানি। আর ওই ম্যাচে আন্দ্রেস ব্রেইমের গোলে জিতে যায় পশ্চিম জার্মানি। আগের ১৯৮৬ এর বিশ্বকাপে বিজয়ের হাসি হাসা ম্যারাডোনাকে ১৯৯০ এ মাঠ ছাড়তে হয় বাঁধভাঙা অশ্রু নিয়ে।
১৯৯০ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে পরাজয়ের যন্ত্রণায় কাতর আর্জেন্টিনার সামনে আর ফাইনালের কোনো ডাক আসেনি। সুযোগের অপেক্ষা এতো বছর! এবার যখন এলো তখন সেই জার্মানি। আবারও আর্জেন্টিনার বিপরিতে সেই জার্মানি। চোখের সামনে সেই সুযোগ। কিংবদন্তি ম্যারাডোনার সেই কান্নার প্রতিশোধ নেওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এবার মেসির আর্জেন্টিনা কি পারবে ফুটবল ইতিহাসের এক কিংবদন্তি ম্যারাডোনার সেই কান্নার দাম দিতে?
এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ভক্তরা পথ চেয়ে বসে আছেন সেই মহেন্দক্ষণ দেখার জন্য। যখন মেসির গোলে কাপ ছিনিয়ে নিয়ে জার্মানিকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে- দেখ আমরাও পারি, আমাদের কিংবদন্তির সম্মান রাখতে।
This post was last modified on জুলাই ১৩, ২০১৪ 10:37 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…