৪ কেজি সোনায় তৈরি শার্ট গায়ে ঘুরে বেড়ান শিল্পপতি!

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ শৈশবে স্কুল থেকে বিদায়ের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনকে বিদায় দিয়ে খুব একটা ভুল করেননি বোধ হয় ভারতের মহারাষ্ট্রের পঙ্কজ পরখ। শিক্ষাজীবনে ব্যর্থ হলেও বাকি জীবনে যা করেছেন সেটা বোধ হয় অনেক সর্বোচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিও করতে পারেননি বা পারবেন না।


মানুষের অর্থ থাকলে শখের অভাব কি হয়? শখের জন্য তখন অদ্ভুত সব কান্ড ঘটায় মানুষ। ঠিক তেমন এক মানুষ হচ্ছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পঙ্কজ পরখ! আদতে মূর্খ হলেও তিনি কিন্তু পারিবারিক ব্যাবসা করে এখন কোটিপতি একই সাথে ভারতের রাজনীতিতেও তিনি যুক্ত আছেন। মানুষকে অনেক দান খয়রাতও করে থাকেন। কিন্তু তার এক অদ্ভুত শখ হচ্ছে স্বর্ণ ব্যবহার। স্বর্ণের প্রতি এই মানুষের অদম্য ভালোবাসা।

শুক্রবার নিজের ৪৫তম জন্মদিনে চার কেজি সোনা দিয়ে বানানো বিশেষ ‘শার্ট’ পরেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিক ও শিল্পপতি পরখ। নিজের জন্মদিনে এমন বিশেষ শার্ট পরা পরখ বলেন, এই শার্ট আমার ‘বিশেষত্ব প্রকাশ’ করছে।

সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এক কোটি ত্রিশ লাখ রুপিরও বেশি মূল্যমানের শার্টটি পরে মুম্বাই শহর থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরের ইওলা শহরে হেঁটে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পরখ।

Related Post

এদিকে এই বহু মূল্যবান শার্টটি বানাতে মুম্বাইয়ের প্রখ্যাত শান্তি জুয়েলার্সের ২০ জন স্বর্ণকার দুই মাস ধরে ৩২০০ ঘণ্টা পরিশ্রম করেছেন। এতে রয়েছে সাতটি ২২ কেরটের নান্দনিক বোতাম। শার্টে ব্যবহারিত স্বর্ণের বিষয়ে রয়েছে গ্যারান্টি।

পরখ নিজের স্বর্ণ প্রীতি নিয়ে বলেন, সাধারণত আমি কখনও ২-৩ কেজি ওজনের সোনার অলঙ্কার ছাড়া বাইরে যাইনি। বরাবরই আমি সোনার প্রতি আসক্ত। পাঁচ বছর বয়স থেকেই সোনায় আসক্তি শুরু হয় আমার। যে কারণে এটা খুবই যৌক্তিক আমি ৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে সোনার তৈরিই কিছু পরিধান করবো।

পরখ আরও বলেন, ২৩ বছর আগে আমার বিয়ের সময়ও আমি খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। তখন সবাই বলছিল, কনের চেয়ে আমার শরীরেই বেশি স্বর্ণালঙ্কার। কিন্তু আমি এই রাজকীয় ধাতু সত্যিই অনেক পছন্দ করি।

পরখ অবশ্য দান অনেক করেন নিজের সম্পদ থেকে, তিনি বলেন, বছরে অন্তত এক সপ্তাহ আমি ভারতে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সেবামূলক কাজ করি, বিশেষত পোলিও নিয়ে। দরিদ্র রোগীদের খাবার, ওষুধ, অস্ত্রোপ্রচার-এমনকি পোশাকেরও ব্যবস্থা করি। এতে এক ধরণের ‍আত্মিক শান্তি পাই।

এদিকে এমন দামি শার্ট পরলেও ভীত নন জানিয়ে পরখ বলেন, আমি নিবন্ধিত রিভলবার সঙ্গে নিয়ে বের হই। আমার সাথে সব সময় থাকে ৬ জন দেহ রক্ষী এরা সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত অতএব কোনো দুর্ঘটনার ভয় নেই আমার।

This post was last modified on জুন ২০, ২০২২ 3:43 অপরাহ্ন

Zia

"বাপের টাকার হিসেবে বড়লোক, নিজের টাকার হিসেবে গরীব। আল্টিমেট আমি নিজেকে গরীব ভাবি। কারণ বাবার টাকায় ফুটানি মারিনা।"

Recent Posts

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…

% দিন আগে

ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার না বলা কথা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…

% দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য ‘মেঘে ভাসমান’ বাড়ি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা তার বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন-“ফ্লোটিং…

% দিন আগে

এমন সুন্দর প্রকৃতি বোধহয় আর হতে পারে না

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে