দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চারিদিকে শুধু যুদ্ধ আর যুদ্ধ। যুদ্ধের দামামা যেনো থামছে না। ফিলিস্তিনে গত এক মাসের যুদ্ধে মারা গেছে দুই হাজারের মতো। আবার ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ৪৫ জন।
যুদ্ধ কারও কাছেই কাম্য নয়, এমন কথা শোনা গেলেও আজকের এই আধুনিক বিদ্যা-বুদ্ধির যুগেও মানুষ যুদ্ধে মেতে আছে। ‘মেতে আছে’ কথাটা এ কারণে বলতে হবে, তাহলো অনেকটা ইচ্ছে করেই এমনটি করা হচ্ছে। যেমন ফিলিস্তিন পরিস্থিতি সবাই জানে। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের একগুয়েমি মনোভাবের কারণে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। অথচ হামাসের কয়জন আর ইসরাইলের কয়জন মারা যাচ্ছে। মরছে সাধারণ মানুষ। যারা যুদ্ধের ‘য’ও বোঝে না, তাদেরকে জীবন দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আবার নতুন করে ইরাকে শুরু হয়েছে যুদ্ধ। ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা হয়েছে। এতে ৪৫ জন আইএসআইএস যোদ্ধা নিহত হয়েছে ও ৬০ জন আহত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। ইরাকের কেন্দ্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে সিএনএন। গতকাল শুক্রবার সিনজার এর নর্দান শহরে এই হামলা চালানোর পর হতাহতের ঘটনা ঘটে। পেন্টাগনের বিবৃতি অনুযায়ী জানা যায়, উত্তর ইরাকের ইরবিল শহরে ২টি এফ/এ-১৮ বিমান ৫০০ পাউন্ড ওজনের লেজার নিয়ন্ত্রিত এই বোমা নিক্ষেপ করে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দুপুরে ইরাকের কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আইসিসের বিরুদ্ধে এ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, কুর্দিস্তানের নিকটবর্তী ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর ইরবিলের কাছে আইসিসের ভারি অস্ত্র লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। কুর্দি মিলিশিয়া পেশমার্গার যোদ্ধারা আইসিসের হাত থেকে ইরবিল শহরকে রক্ষার জন্য লড়াই করছে।
যুদ্ধ কেওই চাইনা। কিন্তু বিশ্বের কোনো না কোনো প্রান্তে একের পর এক যুদ্ধ লেগেই আছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েল গত একমাস যাবত বর্বরতম হামলা চালিয়ে আসছে। এতে নারী ও শিশুসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে। তিনদিনের যুদ্ধ বিরতির পর গতকাল থেকে ইসরাইল আবার হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েল গাজার সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা চালিয়ে আসছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এর প্রতিবাদ করলেও তোয়া্ক্কা করছে না ইসরায়েল।
এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে ইরাকে আবার হামলা বিশ্ববাসীকে আরও বিচলিত করে তুলছে। যুদ্ধ নয়, শান্তি এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে এখন এগিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এই ধ্বংসলীলা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। তা নাহলে একদিন পুরো বিশ্ব যুদ্ধের দামামায় ধ্বংস হয়ে যাবে।