দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ক’দিন আগেও আমরা খবর দিয়েছিলাম বৃহত্তম মসজিদের। কিন্তু আজকের খবর হচ্ছে দেশের ক্ষুদ্রতম প্রাচীন মসজিদের খবর। এটি রয়েছে বগুড়ার আদমদীঘিতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারের তারাপুর এবং মালশন এই দুই গ্রামে প্রাচীন ছোট ২টি মসজিদ রয়েছে। এই মসজিদ দুটিই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শত বছর আগে নির্মিত এই মসজিদগুলোতে এখন আর কেও নামাজ পড়েন না। অনেকেই মনে করেন এই মসজিদ ২টিই উপমহাদেশে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মসজিদ।
ওই খবরে জানা যায়, তারাপুর গ্রামের মসজিদটি এতই ছোট যে এই মসজিদে একসঙ্গে মাত্র ৩ জন নামাজ পড়তে পারেন। অপরদিকে মালশন গ্রামের মসজিদে একসঙ্গে ৫ জন নামাজ পড়তে পারেন। ঐতিহাসিক নিদর্শনের এই গ্রাম দুটি তারাপুর ও মালশনের অবস্থান বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা এলাকায়। রেললাইন পার হয়ে তারাপুর গ্রামে ঢুকতেই প্রথমে পড়ে তালুকদার বাড়ি। এই তালুকদার বাড়িকে পেছনে ফেলে বেশ কয়েকটি বাড়ি পেরিয়ে গেলিই মিলবে এই ক্ষুদ্র মসজিদ দুটির একটি।
জানা গেছে, তারাপুর গ্রামের মসজিদের উচ্চতা ১৫ ফুট এবং দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ৮ ফুট। মসজিদে প্রবেশ দরজার উচ্চতা ৪ ফুট আর চওড়া মাত্র দেড় ফুট। একজন মানুষ সেখানে কোনরকমে প্রবেশ করতে পারবেন। মসজিদে সামান্য উঁচু একটি গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের উপরে ছিল একটি মিনার। তবে এটি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে। আর ইটের তৈরি দেওয়াল পুরু দেড় ফুট। যে ইটগুলো মসজিদের দেওয়ালে ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর আকারে খুব ছোট। এই মসজিদের দরজায় দু’টি সুন্দর খিলান রয়েছে। দরজার খিলান, ভিতরের মিম্বর ও মেহরাবই বলে দেয় যে স্থাপনাটি একটি মসজিদ। চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি স্থাপনাটি এতোটাই পুরনো যে, প্রথমে দেখে এটিকে মসজিদ হিসাবে বোঝা যাবে না।
তারাপুর গ্রামের এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ‘সান্তাহার শহরের পাশে ছাতিয়ান গ্রামে ছিল নাটোরের রাজা রামাকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর বাবার বাড়ি। আর সান্তাহারসহ আশপাশের অঞ্চল তথা তারাপুরও ছিল রাণী ভবানীর স্বামীর ও পরে রাণী ভবানীর রাজ্যত্বেরেই অংশ। ফলে রাণী ভবানীর আসা যাওয়া ছিল এই গ্রামে। কথিত আছে যে, তারাবানু নামে একজন পরহেজগারী মুসলমান মহিলার বাসস্থান ছিল এ গ্রামে। কিন্তু হিন্দু প্রধান এলাকা হওয়ার কারণে ওই মহিলার নামাজ পড়াসহ এবাদত-বন্দেগীতে অনেক অসুবিধা হতো। এই কথা এক পর্যায়ে রাণী ভবানী জানতে পারেন ও তিনি নিজেই চলে আসেন এই গ্রামে। আর সেই মহিলার নামাজ পড়াসহ এবাদত-বন্দেগীতে যেন কেও কোন অসুবিধা করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখার জন্যই পেয়াদাদের হুকুম দেন তার জন্য একটি মসজিদ তৈরি করে দেওয়ার। এভাবেই নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।
অপরদিকে তারাপুর গ্রামে অবস্থিত মসজিদের মতো আরেকটি মসজিদটি রয়েছে মালশন গ্রামে। তবে মালশন গ্রামের মসজিদটি দের্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতায় তারাপুর মসজিদের চেয়ে একটু বড়। তবে নির্মাণশৈলী একই ধরনের। এই মসজিদটি সম্পর্কে মালশন গ্রামের কেও সঠিক কোনো ইতিহাস জানাতে পারেননি।
This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১২, ২০১৭ 12:27 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসলামিক সঙ্গীত জগতে এক নয়াদিগন্তের সূচনা করলেন হোসাইন নূর। তার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দু’টি কচ্ছপ নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলেছেন এক তরুণী। কচ্ছপ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৭ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিটনেস প্রশিক্ষকরা বলেছেন, হাঁটাহাঁটি, দৌড়ানো, জগিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় একযুগেরও বেশি সময় পর মৌলিক গান নিয়ে মিউজিক ডোমেইনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…