দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এইডস এর পর ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ইবোলা ভাইরাস। এই ইবোলায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ পর্যন্ত সারাবিশ্বে প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ৪ হাজার।
এইডস এর পর এই ভাইরাসটি মানব দেহে এক মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে। মরণঘাতী ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু। আবার এই নিহতদের মধ্যে ২৩৩ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই রোগে আক্রান্ত রোগি খুব সহজে এর জীবাণু ছড়ায়। যে কারণে চিকিৎসকরাও রেহায় পাচ্ছেন না। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি, লাইবেরিয়া এবং সিয়েরা লিওনে ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ হাজার ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই ইবোলা ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৯৯ জন। আর এর বেশিরভাগই পশ্চিম আফ্রিকায়।
ইবোলা ভাইরাস ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলেছে, স্পেনে এক নার্স ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ইবোলায় আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে আরো ৭ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা প্রকাশের পর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজৈয় ইবোলা ভাইরাস মোকাবেলায় একটি বিশেষ দল গঠনের কথা জানিয়েছেন।
তবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে ইতিমধ্যেই একটি ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ৮ অক্টোবর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির এক স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে প্রথম এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয় বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়। এরপর আরো ২ স্বাস্থ্যকর্মীও এ চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ইবোলা এমন একটি ভাইরাস জাতীয় রোগ যার প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে হঠাৎ করে জ্বর, গভীর দুর্বলতা, পেশিতে ও গলায় ব্যথা। এই সব লক্ষণ শুধু শুরুর সময় দেখা যায়। এরপরে আসে বমি, ডায়রিয়া ও কোন কোন সময় আবার শরীরের ভেতরে ও বাইরে রক্তপাত ঘটে থাকে।
মানব দেহে মূলত এই রোগের সংক্রমণ হয় রোগে আক্রান্ত পশু থেকে। যেমন: শিম্পাঞ্জি, বাদুর ও এ্যান্টিলোপের কাছাকাছি আসলে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা পরবর্তীতে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।
একজন মানুষ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে এই ইবোলা ভাইরাস সরাসরি ছড়ায়। তবে এটি মূলত রক্ত, শারীরিক তরল পদার্থ বা অঙ্গের মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকে। আবার যেসব জায়গায় এই রোগ ছড়িয়েছে সেইসব পরিবেশে থাকলেও এই রোগের সংক্রমণ হতে পারে। বলা হয়েছে, ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের শেষকৃত্যের সময়ও সংক্রমণের আশংকা রয়েছে। যদি সুস্থ কোনো ব্যক্তি ওই মৃতদেহের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেও আকান্ত্র হতে পারেন।
এই ইবোলায় ভাইরাস সংক্রমণের পর রোগ পুরোপুরি বিস্তার লাভ করতে অন্তত ২ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। শুধু তাই নয় এই রোগ সনাক্ত করা বেশ কঠিন।
This post was last modified on অক্টোবর ১১, ২০১৪ 1:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…