দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয়তার দিক থেকে স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েডের সমকক্ষ কেউ নেই। দিনকে দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে। ফলে অ্যান্ড্রয়েডেও আসছে বৈচিত্র্য। এমন অবস্থায় আপনি আপনার কাজের সুবিধার জন্য আপনার স্মার্টফোনের অ্যান্ড্রয়েডকে সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের মতো করে। তো কিভাবে সাজাবেন জেনে নেওয়া যাক।
গুগল নাউঃ
গুগল নাউ হলো অ্যান্ড্রয়েডের একটি জনপ্রিয় সার্ভিস কিংবা বলা যায় গুগলের একটি জনপ্রিয় সার্ভিস। এই সার্ভিসটির সুবিধা হলো এতে আপনি আপনার সারাদিনের টাস্কের একটি ডিটেইলস নোট রাখতে পারবেন যার মাধ্যমে আপনার টাস্কগুলোর স্মার্টফোন স্ক্রীন কিংবা জিমেইল নোটিফিকেশন পাবেন। এতে করে আপনার প্রয়োজনীয় টাস্কগুলো ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। গুগল নাউ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে একটি জনপ্রিয় সার্ভিস। আপনার স্মার্টফোনের প্লে স্টোরে গিয়ে গেট গুগল নাউ দিলেই অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।
অ্যাপ লঞ্চারঃ
অ্যান্ড্রয়েড একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার। ফলে ব্যবহারকারী চাইলেই অ্যান্ড্রয়েড ওএসকে নিজের ইচ্ছে মতো সাহজিয়ে নিতে পারে কিংবা ইন্টারফেস চেঞ্জ করতে পারবে। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অ্যাপ লঞ্চার কিংবা লক স্ক্রীন লিখে সার্চ করলে হাজার হাজার অ্যাপ লঞ্চার আপনি পাবেন। তার মধ্যে যে সকল অ্যাপের রেটিং ভালো, রিভিউ বেশি সে ধরনের যে কোন একটা অ্যাপ নামিয়েই আপনি আপনার স্মার্টফোনের চেহারা পালটিয়ে ফেলতে পারেন।
পাওয়ার সেভিংস মোডঃ
অ্যান্ড্রয়েড ওএস এর আরেকটি জনপ্রিয় সুবিধা। ল্যাপটপের মতো আপনি এখানে আপনার ব্যাটারির পাওয়ার সেভিংস করতে পারবেন। তবে অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি আরো বিস্তৃত। এই ক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোকে আলাদা আলাদা সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। তাছাড়া কল, টেক্সট, ইন্টারনেট ব্রাউজ সব ক্ষেত্রেই পাওয়ার সেভ করা সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েডের সেটিংস মুড থেকে আপনি এই কাজটি করতে পারবেন।
গুগল ক্রোমঃ
অ্যান্ড্রয়েড ওএসের ডিফল্ট ব্রাউজার। এই ব্রাউজারের সাইন-ইন করে রাখলে আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি, বুকমার্ক, অনলাইন সার্ভিসগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে ফলে আপনাকে সময় নষ্ট করে আপনার এই সার্ভিসগুলো সাজাতে হবে না। তাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ব্রাউজারটিতে সাইন-ইন করে রাখুন।
অ্যাপ সাজিয়ে রাখুনঃ
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার অ্যাপগুলোকে সাজিয়ে রাখতে পারবেন নিজের ইচ্ছেমতো। অনেকেই অ্যান্ড্রয়েডে অনেক অ্যাপ ইন্সটল করে থাকেন। কিন্তু প্রয়োজনের সময় দরকারি অ্যাপটি খুজে পান না অবিন্যস্ত থাকার কারণে এই জন্য আপনি আপনার অ্যাপগুলোকে সাজিয়ে রাখতে পারেন কয়েকটি উইন্ডো করে। এতে করে প্রয়োজনের সময় সহজেই দরকারি অ্যাপটি পেয়ে যাবেন।