দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হরিজন সম্প্রদায়ের নানা অপ্রাপ্তির গল্প নিয়ে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হরিজন’ মুক্তি পাচ্ছে ৭ নভেম্বর।
হরিজন সম্প্রদায়ের নানা অপ্রাপ্তির গল্প নিয়ে সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হরিজন’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৭ নভেম্বর শুক্রবার। এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মির্জা সাখাওয়াত হোসেন। এক সময়ের মঞ্চ অভিনেতা সাখাওয়াত হোসেন বেশ কয়েকটি টিভি নাটক নির্মাণের পর প্রথম বারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও টিভির এক সমযে জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী।
মির্জা সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ‘১৯৯০ সাল হতে তিনি হরিজন সম্প্রদায়ের কাহিনী নিয়ে একটি নাটক অথবা চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন। সেজন্য তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, তিনি মিশেছেন হরিজনদের সঙ্গে। তাদের খুব কাছে গিয়ে দেখেছেন তাদের না পাওয়াগুলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘হরিজন সম্প্রদায় নিয়ে সভ্য সমাজ তেমন কিছু জানে না। শহরের সভ্যরা তাদেরকে তো অস্পৃশ্য আর অছ্যুৎ মনে করছে। আমি তাদের সেই ভুল ধারণাটিকে ভাঙ্গতে চাই। তাদের জীবনধারা খুব সহজ-সরল, খুব সহজেই তারা মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে। শুধু না পাওয়ার গল্পই নয়, আমি তাদের জীবনযাত্রার কথাও তুলে ধরেছি এ চলচ্চিত্রটিতে।’ পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন ‘হরিজন’- ছবির পর ‘আমাকে ছুঁয়ে দেখো’ নামের একটি রোমান্টিক ধাঁচের চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
বিগত বছরগুলোতে সরকারি অনুদানের সিনেমাগুলো হলে মুক্তির আগেই টিভি চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হলেও ‘হরিজন’ ছবিটি প্রথমেই সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি ১০টি হলে মুক্তি দেবে পরিবেশক সংস্থা টি ও টি ফিল্মস।
রোমান্টিক সিনেমার দাপটে জীবননির্ভর সিনেমা ব্যবসা করতে পারবে না, সেই ধারণা পাল্টে দিতে সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ‘হরিজন’। হল মালিকরা এসব সিনেমা চালাতে চান না ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কায়। তবে স্বল্পসংখ্যক হলে চললেও দর্শকের কাছে এমন কাহিনীনির্ভর সিনেমা পৌঁছে দিতে পারলে দর্শকরা হয়তো লুফেও নিতে পারেন- এমনটিই আশা নির্মাতার।