দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৫ বছর পর বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ জয় করেছে। আজ খুলনায় জিম্বাবুয়েকে ১৬২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতে নিলো মুশফিকুর রহিমের দল। দীর্ঘ ৫ বছর পর বাংলাদেশ পেল টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ।
বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবারের খুলনা টেস্টটাও বাংলাদেশের জন্য সব পাওয়ার ম্যাচ ছিল। একদিকে বাংলাদেশ সিরিজ জিতলো অন্যদিকে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। একই টেস্টে সেঞ্চুরি এবং ম্যাচে ১০ উইকেটের কীর্তি গড়ছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ জয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েত তাদের করা ৩৬৮ রানের ২৫৯ রান জোগান দিয়েছিলেন মাসাকাদজা ও চাকাভা। তাদের দুজন পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রচেষ্টা করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। অবশেষে দারুণ এক গুগলিতে চাকাভাকে সাজ ঘরে পাঠান জুবায়ের হোসেন। চাকাভা ফেরার আগে করেছেন মাত্র ২৭ রান। দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে উঠেছে মো্ট ৭০ রান।
চাকাভা ফিরলেও মাসাকাদজা কিন্তু টিকে ছিলেন আরও কিছুক্ষণ। ৩৩ রানে সাকিবের বলে একটা সুযোগও দিয়েছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু শর্ট লেগে দাঁড়ানো মুমিনুল হক ক্যাচটা মিস করেন। প্রথম ইনিংসে শতক হাঁকানো সেই মাসাকাদজা ৬১ রানে আবারও সাকিবের বলে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন। এক্ষেত্রে আর কোনো ভুল করেননি মুমিনুল। খুব দারুণভাবেই লুফে নিলেন ক্যাচটা। আর এতেই পরিষ্কার হয়ে গেলো বাংলাদেশের পথ। মাসাকাদজা ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জয়টা নিশ্চিত হয়ে গেলো। মাত্র ১৪ রানে জিম্বাবুয়ে হারালো শেষ ৫ উইকেট। সাকিব আর তাইজুলের ভেলকিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি, জিম্বাবুয়ে অলআউট ১৫১ রানে।
ম্যাচসেরা নিঃসন্দেহে সাকিব আল হাসান। তবে সাকিবের দিনে আলো ছড়িয়েছেন প্রথম ম্যাচের নায়ক তাইজুলও। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। প্রশংসনীয় বল করেছেন জুবায়েরও, তিনিও নিয়েছেন ২ উইকেট।
টেস্ট’র সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৩৩ ও ২৪৮/৯ ডিক্লে.
জিম্বাবুয়ে: ৩৬৮ ও ১৫১