দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে খুদে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হচ্ছেন আয়ান কোরেশি। যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি শহরের অধিবাসী এই বিস্ময় বালক আয়ান কোরেশির বয়স মাত্র ৬ বছর।
যদিও বয়স এখন মাত্র ৬ বছর। কিন্তু এই বয়সেই আয়ান কোরেশি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই বিস্ময় বালক আয়ান কারেশি এক বছর আগেই উত্তীর্ণ হয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে (আইটি) গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড প্রফেশনাল নামে এক পরীক্ষায়। সেই সুবাদে আয়ান কোরেশি এখন বিশ্বের সবচেয়ে খুদে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে আয়ান কোরেশি কাজ করছে আইটি পরামর্শক হিসেবে।
নিজ বাড়িতে সার্ভার নিয়ে ব্যস্ত আয়ান কোরেশি
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের কভেন্ট্রি শহরের বাসিন্দা আয়ান কোরেশি নিজ বাড়িতে নিজেই স্থাপন করেছেন কম্পিউটার যোগাযোগব্যবস্থা বা নেটওয়ার্ক। আয়ান কোরেশির বাবা আসিম কোরেশিও একজন আইটি পরামর্শক।
আয়ান কোরেশি জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের নেওয়া পরীক্ষাটা প্রথমে কঠিন মনে হলেও পরে তার কাছে মজার মনে হয়েছে। তার স্বপ্ন, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে একদিন যুক্তরাজ্যেও গড়ে তুলবেন একটি টেক-হাব, যার নাম হবে ই-ভ্যালি।
কম্পিউটার যেনো বিস্ময় বালক আয়ান কোরেশির কাছে পানি-পান্তা
বাবা আসিম কোরেশি বিবিসিকে বলেন, ‘পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী, কম্পিউটারভিত্তিক ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ এবং হটস্পট ও দৃশ্যকল্পভিত্তিক প্রশ্নও ছিল। তিনি বলেন, ৫ বছর বয়সী একটা ছেলেকে প্রশ্নের ভাষা বুঝিয়ে দেওয়াটা ছিল সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। তবে সে খুব দ্রুত বুঝে নিতে পেরেছে। আবার তার স্মৃতিশক্তিও বেশ ভালো।
আইটি বিশেষজ্ঞ হতে চান এমন ব্যক্তিরাই সাধারণত মাইক্রোসফট সার্টিফায়েড পরীক্ষায় যারা অংশ নেন।’
আয়ানের বাবা জানান, ‘মাত্র ৩ বছর বয়সেই আমার কাছ থেকে কম্পিউটার চিনে নেয় আয়ান। তখন থেকেই সে হার্ডড্রাইভ এবং মাদারবোর্ড বুঝতে শেখে।’
আয়ানের বাবা আসিম বলেন, ‘আমি তাকে যা-ই বলতাম, পরের দিন সব ঠিকঠাক বলে দিতে পারতো, কখনও ভুলতো না। ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আমি তাকে আরও বেশি করে শেখাতে শুরু করি। এ বয়সে কম্পিউটার নিয়ে এতো বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আয়ানের ব্যাপারটা একেবারেই ভিন্ন। সে সবকিছু আত্মস্থ করে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।’
কভেন্ট্রির বাড়িতে আয়ানের রয়েছে নিজস্ব ল্যাব। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম ও প্রোগ্রাম ইনস্টল করার কাজ শিখতে দিনে আয়ান ২ ঘণ্টা করে সেখানে সময় কাটায়।
পাকিস্তান থেকে আয়ানের মা মামুনাসহ সপরিবারে ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। আয়ানের মা মামুনাও এতো ছোট বয়সে ছেলের সাফল্য দেখে নিজেকে সুখী ও গর্বিত মনে করেন।
This post was last modified on জুন ১৩, ২০২২ 3:27 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার কঠোর নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় “তোমক” নামে এক জনপ্রিয় বিড়ালকে শহরের ‘সম্মানিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্যতম পরিচিত এবং সহজলভ্য একটি সবজি।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যাপল ও গুগল বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যবহারকারীদের আবারও নতুন করে সাইবার…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সবচেয়ে পরিচিত ও সহজলভ্য একটি সবজি হলো…