দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা এলেন বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে তার পৈত্রিক ভিটায়। ১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে তার দাদু ললিত মোহন চক্রবর্তী বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যান।
গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা হতে ভান্ডারিয়া আসেন নচিকেতা। এরপর প্রাইভেটকারে বেলা দেড়টার দিকে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার নিভৃত এক পল্লী চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের উত্তর চেঁচরী গ্রামে তার পৈত্রিক নিবাসে পৌঁছান।
নচিকেতা গাড়ি হতে নেমে প্রথমেই পৈত্রিক জমির দিঘীর পাড়ে গিয়ে বসেন। সেখানে কিছু সময় কাটানোর পর দিঘীর দক্ষিণ পার্শ্বে তাঁর পৈত্রিক ভিটায় যান। সেসময় ফেলে যাওয়া শুন্য ভিটায় বর্তমানে মরিয়ম বেগম নামে এক মহিলা বসবাস করছেন। সেই কুটিরে ১০ মিনিট নীরবে বসে থাকেন ভারতের এই জনপ্রিয় শিল্পী। এই সময় তার বাড়ির স্মৃতি মনে পড়ায় অশ্রুসম্বরণ করতে পারেননি জনপ্রিয় এই শিল্পী।
ভারত থেকে নচিকেতা এসেছেন শুনে এলাকার লোকজন তাঁকে এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমান। ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম উজ্জল, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মতিয়ার রহমান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজী এবং সংবাদকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নচিকেতা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে আমার দাদু ললিত মোহন চক্রবর্তী ভারতে চলে যান। এরপরবর্তীতে আমরাও চলে যায় ভারতে। এতো বছর সে দেশেই বসবাস করছি। বহুদিনের আশা ছিল, এ ভিটিতে আসবো। আজ এই আশা পুরণ হলো। এই ভিটি হতে আমার যেতে ইচ্ছে করছে না। এ মাটিতে বসার পর আমার আর উঠতে মন চায় না। আমার বাবা-মা কেও বেচে নেই।’
জানা গেছে, এই গ্রামে নচিকেতার পরিবারের ৫০-৬০ বিঘা জমি ছিল। তার দাদা ভারতে চলে যাওয়ার পর এলাকার কিছু লোক নামে-বেনামে ভুয়া ডিক্রি দেখিয়ে ভোগ দখল করছেন।