দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা অনেকেই অজ্ঞ। কিভাবে চললে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখা অতি জরুরি। আর তাই মানব স্বাস্থ্যের নানা শর্ট নিউজ নিয়ে আমাদের আয়োজন সংক্ষিপ্ত স্বাস্থ্যকথা। আশা করি ছোট ছোট এসব স্বাস্থ্য ট্রিপস্ পড়ে সকলেই উপকৃত হবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে টুইটার!
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পোস্টগুলো ব্যবহারকারীদের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে-মজার খবরটি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলিনার আরনল্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের একদল গবেষক। ছয় মাস ধরে ৯৬ জন নারী ও পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছেন তাঁরা।
গবেষক দলের প্রধান ব্রি টার্নার ম্যাকগ্রিভি জানান, ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতি ১০টি স্বাস্থ্যবার্তায় ০.৫ শতাংশ ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
সূত্র: ইন্টারনেট
শিশুর ওজন কম বা বেশি হলে
শিশুর জন্মকালীন সাধারণ ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজি অর্থাৎ ৫ থেকে ৭.৫ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে। ১ম সপ্তাহে শিশুর ওজন কিছুটা কমে যায়। এরপর জন্মকালীন ওজনের দ্বিগুণ হবে ৬ মাসে এবং তিনগুণ হবে ১ বছরে।
ওজন কম হওয়ার কারণ
ষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস ষ অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ষ মায়ের পুষ্টিহীনতা ষ কৃমি আক্রান্ত হওয়া ষ হাত পা না ধুয়ে খাবার গ্রহণ
কম ওজনের জটিলতা
ষ কোওয়াশিয়রকার ষ মেরাসমাস
ষ রিকেট ষ এনিমিয়া/ রক্ত স্বল্পতা
ষ রাতকানা
কম ওজনের শিশুর খাবার তালিকা
উদ্ভিজ : শাকসবজি লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, পটোল, লাউ ইত্যাদি।
প্রাণিজ : দুধ, ডিম, মাংস, কলিজা, ছোট ও বড় মাছ ইত্যাদি।
অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণ
ষ অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া
ষ অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া ষ নিয়মিত খেলাধুলা ও ব্যায়াম না করা
অতিরিক্ত ওজনের জটিলতা
ষ শরীরের অতিরিক্ত ওজন, মেদ বহন করা শিশুর জন্য কষ্টকর ষ হাঁপানি ষ উচ্চ রক্তচাপ ষ ডায়াবেটিস ষ হূদরোগ
শিশুর ওজন কমাতে করণীয়
শিশুকে নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাধুলা করাতে হবে ষ ফাস্টফুড খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে ষ শাকসবজি খাওয়া বাড়িয়ে দিতে হবে।
# ডা. আলমগীর মতি
হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক
সোল্ডার জয়েন্টে ব্যথা চিকিৎসা ও পরামর্শ
স্কন্ধ অস্থি সন্ধি একটি জয়েন্ট। বয়স ও ব্যবহারজনিত কারণে এসব জয়েন্টের আশপাশের মাংসপেশি, টেন্ডন, লিগামেন্ট, ক্যাপসুল ও বার্সাতে প্রদাহ হতে পারে এবং রোগী জয়েন্ট নড়াচড়া করতে ব্যথা অনুভব করে, ফলে জয়েন্ট নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকেন এবং জয়েন্টটি আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে জমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় জয়েন্টের নড়াচড়া করার ক্ষমতা হ্রাস হয় এবং স্টিফনেস ডেভেলপ করে। ডায়াবেটিস, ঘাড়ের ব্যথা ও বুকের সার্জারির কারণেও এ জোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা : এ রোগের চিকিৎসায় ব্যথা নিবারক ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকরী ও প্রধান চিকিৎসা ব্যবস্থা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। ফিজিওথেরাপিতে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল যন্ত্রপাতি যেমন- সর্টওয়েভ ডায়াথার্মি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, আইএফটি ব্যবহার করে ব্যথা কমানো যায়। ইলেক্ট্রোথেরাপির সঙ্গে সঙ্গে জয়েন্টের সচলতা বাড়ানো জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম যেমন- পেন্ডুলার এক্সারসাইজ, মেনিপুলেশন, কৌশলগত ব্যায়াম করা উচিত। এ ছাড়া ফ্রোজেন সোল্ডার রোগীদের নিয়মিত সাঁতার কাটা ও ব্যবহারিক ব্যায়াম যেমন- দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে হাত আস্তে আস্তে উপরে উঠানো, উপরে ঝুলানো পুলির মাধ্যমে দড়ির সাহায্যে হাত উপরে নিচে করা, তোয়ালে দিয়ে পিঠ মোছা ইত্যাদি। যে জোড়ার ব্যথা সে দিকে কাত হয়ে না শোয়া এবং জোড়ার গরম শেক দেয়া ইত্যাদি উপদেশ মেনে চলতে হয়। অনেক সময় সোল্ডার জয়েন্টে ইনজেকশন প্রয়োগ করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
# ডা. মোঃ সফিউল্যাহ প্রধান
চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক, ডিপিআরসি
সায়াটিকার কার্যকরী চিকিৎসা
কোমরের ব্যথা যখন পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত চলে যায় তখন তাকে আমরা সায়াটিকা বলি। আসলে সায়াটিকা কোমর ব্যথার সম্প্রসারিত রূপ। অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা পিএলআইডির ফলে সায়াটিক স্নায়ুর গোড়াগুলো চাপে পড়লে এ স্নায়ুতে এক ধরনের প্রদাহ শুরু হয়। অনেকে পা চাবানো বা ঝিঁঝিঁভাব অনুভব করেন। অনেকে আবার কোমরের চেয়ে পায়েই বেশি ব্যথা অনুভব করেন।
চিকিৎসা : ব্যথা কমানোই মূল লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ ও ইলেকট্রোথেরাপি সম্মিলিতভাবে ভালো কাজ করে। তীব্র ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে দিনে ৩-৪ বার ফিজিওথেরাপি দিলে ভালো হয়। কোমরের এমআরআইয়ের মাধ্যমে রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ‘লাল পতাকা’ উপসর্গ যেমন; পা অবশ হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানা বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসা শুরুর আগে রোগ নির্ণয় জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক সেবন করবেন না।
জিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফিজিওথেরাপি নেবেন না।
# ডা. মোহাম্মদ আলী
হাসনা হেনা ফিজিওথেরাপি ক্লিনিক