দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তালেবানদের আরেক নির্মমতার শিকার হলো এবার পাকিস্তানের শিশুরা। কোমলমতি শিশুদের রক্তস্রোতে ভাসছে পাকিস্তান। এমন নির্মমতা যেনো হাজার বছরের সকল বর্ববরতাকেও হার মানিয়েছে।
এক কথায় বলতে গেলে হাজার বছরের শত নির্মমতাও যেনো হার মানিয়েছে। পাকিস্তানে আজ যে নির্মম ঘটনা ঘটে গেলো। তা মনে হয় পৃথিবীর ইতিহাসে আর দেখা যাবে কিনা সন্দেহ। এটাকে বলা যায়, নির্মম, নিষ্ঠুর, বর্বর, মধ্যযুগীয় এবং মর্মান্তিক। কোনো বিশেষণেই এই ঘটনার বর্ণনায় যথেষ্ট হবে না। পাকিস্তানের প্রতিটি ইট-পাথর, লতা-পাতা এখন গুমরে গুমরে কাঁদছে তরতাজা প্রাণহানির শোকে। পাকিস্তানই যেনো এখন ভাসছে রক্তগঙ্গায়। মানবতা আজ কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা পাকিস্তানের ঘটনায় প্রতীয়মাণ হচ্ছে।
বর্বর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তালেবানের হামলায় পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত স্কুলে আজ যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে তাতে নিহত হয়েছে ১৩০ জন। এরমধ্যে ১শ’রও উপরে রয়েছে নিষ্পাপ শিশুর দেহ।আরও পাওয়া গেছে ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তার প্রাণহানির খবরও।
আজ ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালের এই হামলায় সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুসহ ১৩০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
ওই ঘটনাস্থলের আশপাশে শিশু শিক্ষার্থীদের প্রিয়জন এবং অভিভাবকদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অপরদিকে যাদের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাদের জন্য উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন মা-বাবাসহ প্রিয়জনরা।
পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি স্কুলে শিশুদের পাঠদানের দৃশ্য
পরিস্থিতি পরিদর্শনে পেশোয়ারে হাজির হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। একইসঙ্গে তালেবানদের সঙ্গে সবরকমের সমঝোতা সংলাপ স্থগিত ঘোষণা করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৫/৬ জন অজ্ঞাত বন্দুকধারী পেশোয়ারের ওয়ারসাক রোডের ওই স্কুলে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। স্কুলটিতে অফিসার ও নন-কমিশনড সেনাদের সন্তানরা পড়াশোনা করতো। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১০ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। হামলার পর স্কুলের ভেতর ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী/শিক্ষক আটকা পড়েছেন।