দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান প্রতিহত করতে বিশেষায়িত রকেট ইউনিট মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া। তাছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতেও এখন পুরোপুরি প্রস্তুত দেশটি। এ খবরে সমগ্র বিশ্বেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। খবর অনলাইন পত্রিকা সূত্রের।
উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় বি-৫২ স্টিলথ বোমারু বিমান প্রবেশ করায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিয়ংইয়ং। ২৮ মার্চ মধ্যরাতে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সশস্ত্রবাহিনীকে রকেট মোতায়েনের নির্দেশ দেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম কেসিএন এ তথ্য জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, বি-৫২ বোমারু বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘন উত্তর কোরিয়ার কাছে চরম হুমকির সামিল। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই বিমান বিধ্বংসী এবং দূরপাল্লার রকেট মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২৮ মার্চ কোরিয়ান অঞ্চলের আকাশসীমায় যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বি-৫২ স্টিলথ বোমারু বিমান প্রবেশ করে। পারমাণবিক অস্ত্র বহন এবং নিক্ষেপে সক্ষম এই বোমারু বিমানগুলো রাডার ফাঁকি দিয়ে প্রায় অদৃশ্য হয়ে উড়তে সক্ষম। পিয়ংইয়ং বোমারু বিমানের ঘটনাকে আগ্রাসী বলে উল্লেখ করলেও যুক্তরাষ্ট্র একে মহড়ার নিয়মিত অংশ বলে উল্লেখ করেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া একটি নতুন সামরিক চুক্তি করেছে যেখানে মহড়া ও নিরাপত্তা প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ের উল্লেখ আছে। কিম জং উন বলেন, সময় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদকে মোকাবিলা করা। তাদের ‘বেপরোয়া’ উস্কানিতে উত্তর কোরিয়ার উচিত গুয়াম ও হাওয়াইসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় দেশটির সকল সামরিক ঘাঁটিতে নির্দয়ভাবে হামলা চালানো। তিনি আরো বলেন, এর মধ্যদিয়ে দেশটি তাদের শক্তির প্রদর্শন করেছে যা পারমাণবিক যুদ্ধের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলবে।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই দুই কোরিয়ার একে অপরকে পাল্টাপাল্টি হামলার হুমকিকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়াকে সামরিক সহায়তা দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানায় দেশটি। এরই ফলে উত্তর কোরিয়ায় রকেট মোতায়েন করা হলো।