দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মমির ময়না তদন্তে ৭শ’ বছরের মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ওই মমি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সূত্র খুঁজে পেয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মমিতে পরিণত হওয়া একটি মৃতদেহের ময়না তদন্তের মধ্যমে অবশেষে উদঘাটিত হতে যাচ্ছে ৭শ’ বছরের পুরোনো এক মৃত্যু রহস্য। এদিকে বিজ্ঞানীরাও ওই মমি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় সূত্র খুঁজে পেয়েছেন।
ইতিহাসবিদরা বলছেন, ১৩২৯ সালের ঘটনা। ৩৮ বছর বয়সী ইতালির ভেরোনার শাসক কানগ্রাদ ডেলা স্কালা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। আবার মৃত্যুর কিছুদিন আগেই তিনি ট্রেভিসো শহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছিলেন।
ইতিহাসের রয়েছে, সে সময়কার লিখিত নথিতে আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল জ্বর ও পেটের অসুখ। কিন্তু একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জার্নালের সাম্প্রতিক সংখ্যায় স্কালার মৃত্যুর কারণ বলা হয়েছে বিষপ্রয়োগ। যদিও স্কালাকে বিষপানে হত্যার গুজব বহু দিনের পুরোনো।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ২০০৪ সালে স্কালার মমিটিকে তার প্রস্তরখচিত শবাধার হতে উদ্ধার করা হয়। গবেষকগণ মধ্যযুগীয় শাসকের ওই মমিতে ময়নাতদন্ত করে চমকপ্রদ সব আলামত পেয়েছেন।
একটি প্রকাশনায় প্রথম এই আলামতের ব্যাপারে লেখা হয় ২০০৭ সালে। এসব আলামতগুলোর মধ্যে ছিল- ঘুমের ওষুধ ও কয়েক ধরণের বিষাক্ত উদ্ভিদ। অনুমান করা হচ্ছে যে, হত্যার উদ্দেশ্যে এসব উপাদান স্কালার শরীরে ঢোকানো হয়েছিল। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয় যখন জানা যায় যে, স্কালার উত্তরাধিকারী মাস্তিনো দ্বিতীয় স্কালার চিকিৎসকদের একজনকে ফাঁসিতে ঝোলান হয়।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতা এবং বাদামী চুলের কানগ্রাদ ডেলা স্কালা লিভার ও ফুসফুসের জটিল রোগেও ভুগছিলেন। তবে মমি গবেষণায় সামনে চলে আসে বিষ প্রয়োগের অনুমান।
গবেষকদলের প্রধান গিনো ফর্নাসিয়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভুল চিকিৎসার মাধ্যমেও স্কালার শরীরে বিষাক্ত উদ্ভিদের উপাদান ঢুকতে পারে।’
তবে ভিন্নমত রয়েছে যে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন স্কালার ক্ষমতালোভী ভাইপো মাস্তিনো দ্বিতীয়। যিনি নিজের অপরাধ গোপন করতে স্কালার চিকিৎসকদের একজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন- এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। তথ্যসূত্র: www.discovery.ca