দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানের পেশোয়ারে স্কুলে তালেবানের গণহত্যার পর এবার সেখানে শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
পাকিস্তানে পেশোয়ারে স্কুলে তালেবানের গণহত্যার কথা কেও ভোলেনি এখনও। সেনা অধ্যুষিত একটি স্কুলে হামলায় ১৩২টি তরতাজা শিশুকে প্রাণ দিতে হয়। সেই ক্ষত এখন পর্যন্ত পাকিস্তান তো বটেই বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলা ঠেকাতে পাক সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর এই পদক্ষেপের অংশ হলো পেশোয়ারের শিক্ষকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ। যাতে তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পেশোয়ারের খাইবার পখতুন রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই ক্লাসরুমে এসব শিক্ষকদের অস্ত্র হাতে দেখা যাবে। কারণ হলো ইতিমধ্যেই পাক সরকার ক্লাসরুমে অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কেপি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘প্রত্যেক শিক্ষকের ক্লাসরুমে আগ্নেয়াস্ত্র বহন বাধ্যতামূলক নয়, তবে যারা চাইবেন তারা অস্ত্র নিয়ে যেতে পারবেন।’
রাজ্যের তথ্যমন্ত্রী মুশতাক গণি এ বিষয়ে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার সব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দিতে পারবে না। আর তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ হাজার স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির নিরাপত্তায় আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ নেই। সে কারণেই শিক্ষকদের আগ্নেয়াস্ত্র বহনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
কিন্তু বেসরকারি স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মালিক খালিদ খান সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন যে, ‘এক হাতে কলম- আরেক হাতে অস্ত্র নিয়ে কিভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব?
মালিক খালিদ খান আরও বলেন, ‘অস্ত্র ধরা আমাদের কাজ নয়- বই পড়ানোই আমাদের কাজ। শিক্ষকদের হাতে অস্ত্র থাকলে শিক্ষার্থীদের মনে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’