দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৩০ দিনেই মঙ্গলগ্রহ ভ্রমণ করে আসতে পারবে মানুষ! ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলেছেন, তারা যদি পারমাণবিক শক্তিনির্ভর একটি রকেট মহাকাশ যান তৈরি করতে সক্ষম হন তাহলে কম সময়েই মানুষের মঙ্গল ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ হবে। খবর এক্সট্রিম টেক ও আর্থ স্কাইয়ের।
পৃথিবী থেকে ২২ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মঙ্গলগ্রহ। বর্তমান প্রযুক্তিতে এ গ্রহে পৌঁছতে প্রায় ৪ বছর সময় লাগে। কিছুদিন আগে রোবট মহাকাশযান কিউরিওসিটির মঙ্গলে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় ১০ মাস। মনুষ্যবাহী মহাকাশযানে আরও বেশি সময় লাগবে। কারণ এক্ষেত্রে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানীয় সঙ্গে নিতে হবে। আর এগুলো বহন করতে তুলনামূলক বড় যান লাগবে এবং তেল খরচও বেশি হবে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা ও ওয়াশিংটনভিত্তিক মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এমএসএনডব্লিউ-এর গবেষকরা ‘নিউক্লিয়ার ফিউশন’-নির্ভর মহাকাশযান তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তারা আশা করছেন, এ প্রযুক্তি সফল হলে মাত্র ৩০ দিনেই মঙ্গলে গিয়ে আবার ফিরে আসা যাবে। আর এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কম হবে।
গত কয়েক বছর ধরে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের প্রধান জন স্লাফ ফিউশন-নির্ভর রকেট তৈরির বিভিন্ন পর্যায় নিয়ে কাজ করেছেন। তার মতে, এ মহাকাশ যানটি আকৃতির দিক থেকে খুব সাদাসিধে হবে। তবে প্রযুক্তির দিক দিয়ে হবে খুবই কৌশলী। যানটি ঘণ্টায় ২ লাখ কিলোমিটার গতিতেও উড়তে পারবে। বর্তমানে মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে ব্যস্ত রয়েছে নাসার পাঠানো রোবট মহাকাশযান কিউরিওসিটি। এর মাধ্যমে গবেষকরা মঙ্গলপৃষ্ঠে প্রাচীন নদীর রেখা, নুড়ি পাথর ও পানি প্রবাহের প্রমাণ পেয়েছেন। তারা আশা করছেন, এখানে কৃত্রিম পরিবেশ সৃষ্টি করে মানুষের বসতি গড়ে তোলাও সম্ভব হবে।