দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরচর্চা নাকি স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী! এমন কথা কি আগে কখনও শুনেছেন। এবার এমন কথায় শোনা গেলো। এমন কথা বলেছেন গবেষকরা।
পরচর্চা যাকে আমরা অনেক সময় পরনিন্দা বা গ্রামের ভাষায় কুটলামো বলে থাকি। এরকম কাজ করতে অনেকেই আবার ভালোবাসেন। তবে বেশিরভাগ মানুষ এটিকে খারাপ চোখেই দেখে থাকে। কিন্তু এই পরচর্চা বা পরনিন্দাকে গবেষকরা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। আইএএনএস এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেছে।
গবেষকরা বলেছেন যে, পরচর্চা শুধু আবেগগত বিষয়ই নয়, বরং এটি চর্চার মাধ্যমে শারীরিকভাবেও কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়। কোনো একটি গোপন বিষয় নিজের মনে চেপে রেখে দেওয়ার চেয়ে তা কাছের বা পরিচিত কাওকে জানিয়ে দেওয়া অনেকটা স্বস্তিকর।
গবেষকরা দেখেছেন যে, গোপন বিষয়টি যদি নিজের মনে চেপে রাখা হয়, তাহলে সেটি অনেকটা দেহে বাড়তি ওজন বহনের মতোই মনে হয়। এতে করে নিজের উদ্যমও ব্যয় হয় বলে মনে করছেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিজনেস স্কুল, নিউ ইয়র্ক সিটি এবং গবেষণাপত্রটির সহ-লেখক অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর অব নেগোশিশেনস মাইকেল স্লেপিয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কর্মস্থলের অথবা যেকোনো একটি গোপন কথা নিজের অন্তরে পুষে রাখলে তা অনুপ্রেরণা নষ্ট করতে পারে।’
অ্যাস্টিস্ট্যান্ট প্রফেসর অব নেগোশিশেনস মাইকেল স্লেপিয়ান আরও বলেছেন, ‘গোপন কথা জমিয়ে রাখার কারণে আপনার আশপাশের বিষয়গুলোকে আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং কম প্রেরণাদায়ক বলে মনে হতে পারে। এতে করে ওই ব্যক্তির কর্মস্পৃহা কমে যেতে পারে।’
গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয়ে দেখা যায় যে, ‘নারীর তুলনায় পুরুষরায় গোপন কথা তাড়াতাড়ি অন্যের কাছে প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, কোনো একটি গোপন কথা পুরুষের কানে এলে তারা আধ ঘণ্টার মধ্যেই অন্যকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন নারী কথাটি সাড়ে ৩ ঘণ্টা নিজের মনে আটকে রাখে। তারপর সেটি অন্যদের জানানো শুরু করে।’
তাই গবেষকরা বলেছেন, গোপন কথা নিজের অন্তরে পুষে রাখলে যেহেতু একজন মানুষের অনুপ্রেরণা নষ্ট করে, সেহেতু এটি গোপন না করে বলে দেওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* তবে ইসলামের দৃষ্টিকে কিন্তু পরনিন্দা পরিহার করার কথা বলা হয়েছে সেটি মনে রাখতে হবে।