দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি খারাপ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে অনেকের আর তা হলো রাতজাগা। গভীর রাত অবধি জেগে নানাভাবে ব্যস্ত থাকা। অথচ রাতজাগার জন্য শারীরের ক্ষতি হতে পারে তা আমাদের জানা নেই। রাতজাগার কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই বেশি রাতে ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেকেই এর কুফল সম্পর্কে কিছুই জানি না। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার কারণে বাড়ছে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হয়েছে, রাতজাগা মানুষ (night owl) ও খুব সকাল সকাল ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠা (early bird) মানুষের ক্রনোটাইপ অর্থাৎ দেহঘড়ির বৈশিষ্ট্যগুলোর বিষয় নিয়ে কাজ করেন কোরিয়ার একদল গবেষক।
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, অন্যদের তুলনায় রাতজাগা মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস, মেটাবলিক সিনড্রোম ও সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। এই দুই ধরণের মানুষ একই পরিমাণ ঘুমালেও রাতজাগা মানুষের এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি হয়। এর কারণ, রাত জেগে থাকার কারণে ঘুম কমে যায়, ঘুমের মান কমে, আবার খাওয়ার সময়ও ওলট পালট হয়ে যায়। এসব কারণে দীর্ঘদিন রাতজাগার অভ্যাসের ফলে মেটাবলিজমে আসে নানা পরিবর্তন।
ওই গবেষণায় ৪৭ হতে ৫৯ বছরের মাঝে ১,৬২০ জন ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। তাদের প্রত্যেকে নিজেদের ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম হতে ওঠার সময়, জীবনচর্চা এবং অভ্যাসের ব্যাপারে তথ্য সরবরাহ করেন। এরপর DEXA ও CT স্ক্যানের মাধ্যমে তাদের টোটাল বডি ফ্যাট, লিন বডি মাস ও অ্যাবডমিনাল ফ্যাট পরিমাপ করা হয়। এতে দেখা যায়, সবার মাঝে ৪৮০ জন সকাল সকাল ওঠেন। এদের মাত্র ৯৫ জন রাতজাগা অভ্যাসের মানুষ। বাকিরা এই দুইয়ের ঠিক মাঝামাঝি ধরণের ক্রনোটাইপের মানুষ।
গবেষণায় দেখা যায়, রাতজাগা অভ্যাসের মানুষদের বডি ফ্যাট এবং ট্রাইগ্লিসারাইড লেভেল হয়ে থাকে অন্যদের চাইতে বেশি। শুধু এটিই নয় তাদের সারকোপেনিয়া হবার প্রবণতাও বেশি দেখা যায়। সারকোপেনিয়া এমন এক জটিলতা, যাতে রোগি ধীরে ধীরে পেশী হারাতে থাকেন। দেখা যায়, পুরুষদের মাঝে ডায়াবেটিস ও সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বেশি হয়। আবার নারীদের মাঝে মেদবহুল পেট ও মেটাবলিক সিনড্রোম হতে দেখা যায় অনেক বেশি।
রাতজাগা অভ্যাসের কারণে এসব মানুষের ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু এক্ষেত্রে আসলে করার তেমন কিছু থাকে না। এর কারণ হলো, অনেকের জেনেটিক মেকআপের ওপর ভিত্তি করে এই অভ্যাস গড়ে ওঠে।
গবেষকরা মনে করেন, এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ মানুষ অভ্যাসের দাস। যেটি অভ্যাস করা যায় সেটিই হয়। হয়তো এক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে। তবে ইচ্ছে করলে রাতজাগার অভ্যাস আপনি দূর করতে পারেন। আস্তে আস্তে এটি করতে হবে। প্রথমে এক ঘণ্টা কমিয়ে দিন রাতজাগা। এরপর আরেক ঘণ্টা এভাবে এক সময় গভীর রাত অবধি জেগে না থেকে জলদি ঘুমাতে যাওয়া ও সকাল সকাল ঘুম হতে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। আর সেটিই হবে আপনার জন্য মঙ্গলজনক।
This post was last modified on মে ২২, ২০১৫ 10:48 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘নেচার ইজ় ব্রুটাল’ নামে এক্স হ্যান্ডল হতে পোস্ট করা ভিডিওটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…