দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুরু হলো বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট লড়াই। সর্বশেষ পাকিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডেতে সিরিজ জয় ও দুই টেস্টের একটিতে ড্র করে বাংলাদেশ। আজ ভারতের সঙ্গে কি করবে সেটিই দেখার বিষয়।
দীর্ঘ ৫ বছর পর বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট লড়াই শুরু হলো আজ। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে ২০১০ সালে। দুই টেস্টের ওই সিরিজে সে সময় ভারতের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয় স্বাগতিকরা। এরপর দীর্ঘ ৫ বছরের বিরতি দিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে টাইগাররা। একমাত্র এই টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায়। সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে এই খেলা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ভীষণ উজ্জ্বল হলেও, টেস্ট ম্যাচে সেভাবে প্রমাণ করতে পারছে না। সর্বশেষ খেলায় ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে বাংলার টাইগাররা। ৩ ম্যাচের ওই সিরিজে বাংলাদেশ জিতে ৩-০ তে। কিন্তু টেস্টে আবার উল্টো ফল হলো। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে খুলনায় প্রথমটি ড্র করতে সমর্থ হয়, কিন্তু ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের। শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট লড়াই দিয়েই শুরু হচ্ছে টাইগারদের লড়াই। মনোবল এখন তুঙ্গে, তবে মাঠে গিয়ে তারা কতখানি কি করতে পারবেন সেটিই দেখার বিষয়।
আজকের ফতুল্লার এই টেস্ট ম্যাচ মুশফিকদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, অপর দিকে চ্যালেঞ্জ বিরাট কোহলিদের জন্যও। এ ম্যাচের আগে একটিমাত্র টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন কোহলি। বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলীয়া সফরে মহেন্দ্র সিং ধোনির আকস্মিক অবসরে ভারতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান কোহলি। ওই টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলীয়ার সঙ্গে ড্র করে ভারত।
আজকের এই টেস্ট দিয়েই পূর্ণাঙ্গ টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে যাত্রার শুরুটা স্মরণীয় করে রাখতে মরিয়া হবেন ভারতের নতুন এই অধিনায়ক এটায় স্বাভাবিক।
অপরদিকে ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এর আগে মাত্র একটিই টেস্ট হয়েছিল। ২০০৬ সালের এপ্রিলের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ দারুণ লড়াই করে ৩ উইকেটে হেরে যায ‘মহাপরাক্রমশালী’ অস্ট্রেলীয়ার কাছে। ৯ বছর আগের সেই লড়াইয়ের স্মৃতি নিয়ে একই মাঠে ভারতের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ। আজকের এই টেস্টে কেমন খেলবেন সাকিব-তামিম-মুশফিকরা? অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জানিয়েছেন, জিততে পারলে তো কথাই নেই, অন্তত ড্র করলেও তিনি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারবেন- সাংবাদিকদের এমন মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি। অভিনন্দন ও শুভ কামনা রইলো বাংলাদেশ দলকে।