দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় জাতি আজ চরমভাবে উৎকণ্ঠিত। আর কত শিশুকে এভাবে প্রাণ দিতে হবে? জাতির কাছে আজ সকলের প্রশ্ন।
বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের ঘটনা প্রথম নয়। আগেও এমনটি ঘটেছে বহুবার। তবে সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা দেশবাসীকে রীতিমতো উৎকণ্ঠিত করে তুলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনা ছিল সিলেট ও খুলনা ঘটনা। নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় তাদের।
খুলনার টুটপাড়ায় রাকিব (১৩) নামের একটি শিশুকে কমপ্রেসার মেশিন দিয়ে মলদ্বারে বাতাস ঢুকিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। একই দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কম্পাউন্ডে লাগেজের ভেতর হতে আনুমানিক ৯ বছর বয়সের একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ইস্ত্রির ছ্যাঁকাসহ ৫৭টি আঘাতের চিহ্ন ছিল।
গত ৮ জুলাই চুরির অপবাদ দিয়ে সিলেটের শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু রাজনকে ৪ ঘণ্টা নির্যাতন করে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২৮ মিনিট ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র ধারণ করে সেটি ফেসবুকে আফলোড করা হয়। একইভাবে ১৩ এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেতের মস্তুল এলাকার ২০-২২ জনের একটি দল কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে ১৬ বছরের এক কিশোর নাজিমের ওপর বর্বর নির্যাতন করে। রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটানোর পর অচেতন অবস্থায় লাথি দিয়ে তাকে ফেলে দেওয়া হয় বালু নদীতে।
গত সাড়ে ৩ বছরে সারাদেশে ৭৭৭ শিশু নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও একটি ঘটনারও আজ পর্যন্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। যে কারণে একের পর এক ঘটে যাচ্ছে এসব লোমহর্ষক শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা। শিশু অধিকার ফোরামের হিসাবে বলা হয়েছে, গত সাড়ে ৩ বছরে ৭৭৭ শিশু নির্যাতনে মারা গেছে। এরমধ্যে চলতি বছরে মাত্র ৭ মাসে ১৯১ শিশু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। একই সময় হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আরও অন্তত ১১ শিশুকে।
# ২০১২ সালে ২০৯
# ২০১৩ সালে ২১৮
# ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৫০
ক্রমেই শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বাড়ছে। শিশু অধিকার ফোরামের রেকর্ডে আরও দেখা যায় যে, মোট ৬১টি ক্যাটাগরিতে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে মোট ২ হাজার ৮০১ শিশু নামামুখী নির্যাতন, হয়রানি এবং আক্রান্ত হয়েছে। আবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৬ মাসে মোট ১৭৫ শিশু এবং তরুণ।
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বোঝা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে শিশু নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সামাজিক অবক্ষয়, মানবিক মূল্যবোধের অভাব নানা কারণে মানুষ দিনে দিনে শিশুদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এখনই এগুলো রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ চিত্র আমাদের দেখতে হতে পারে। বিশেষ করে নির্মম ঘটনাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিশুদের প্রতি মানবিক হওয়ার ওপর ব্যাপক প্রচার-প্রচারণাও চালানো দরকার। তা না হলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের ওপর এইসব নির্যাতন রোধ করা যাবে না। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
This post was last modified on আগস্ট ৬, ২০১৫ 1:05 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ এক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। দাবানলে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি ভারতের। সেখানকার কুচামন পুরসভার বিরোধী নেতা অনিল সিংহ মেদতিয়া।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৪ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ঘুমনোর সময় ত্বক ‘হিল’ হয়। তাই রাতের স্কিন কেয়ারের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের লেজেন্ডারি ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যাদের শীত বেশি অর্থাৎ যারা শীতে একটুতেই কাতর হয়ে পড়েন…