দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিলিয়ান-জেনিফার যমজকে বলা হয় পুনর্জন্ম। ১৯৫৭ সালে মারা যাওয়া জ্যাকলিন ও জোয়ানা নামের জমজ দুই বোন এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তাদের পুনর্জন্ম বলে ধরা হচ্ছে!
সেই ১৯৫৭ সালের ৫ মের ঘটনা। জ্যাকলিন ও জোয়ানা নামে জমজ দুই বোন এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর ঠিক পরের বছর ১৯৫৮ সালে তাদের বাবা-মা জন এবং ফ্লোরেন্সের আবার যমজ সন্তান হয়। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, সন্তানদের জন্মের আগে ডাক্তার বলেছিলেন তাদের একটি সন্তান হবে। কিন্তু জন তারপরও দৃঢ়ভাবে বলতেন, তাদের দুটি সন্তান হবে। তিনি আরও বলতেন যে, তাদের মৃত মেয়েরা এই সন্তানদের মাধ্যমে ফিরে আসবে, অর্থাৎ তাদের পুনর্জন্ম হবে।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার হলো, তাদের সত্যিই দু’টি যমজ মেয়ে জন্ম নেয়, যাদের নাম রাখা হয় জিলিয়ান পলক ও জেনিফার পলক। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তারা তাদের মৃত বোনদের মতোই কথা বলতো। তাদের মৃত বোনরা যে স্কুলে পড়তো, সে স্কুল দেখিয়ে তারা বলতো, তারা সেখানে পড়তো। শুধু তাই নয়, তাদের বোনদের প্রতিটি পুতুল এবং টেডি বিয়ারের নামও তারা বলতে পারতো। আবার তারা এও বলতো যে এগুলো এক সময় তাদেরই ছিলো।
যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের দুই বোনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই জায়গাটিও তারা দেখেই চিনে ফেলে এবং চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে, ‘গাড়িটা আমাদের দিকে ছুটে আসছে! মেরে ফেলবে!’ ইত্যাদি। অথচ মৃত বোনদের ব্যাপারে এসব কোনো কথাই তাদের পরিবার হতে কখনও তাদের জানানো হয়নি। তারা তাদের মৃত জমজ বোনদের প্রতিটি স্মৃতিই স্মরণ করতে পারতো অবলীলায়।
৫ বছর বয়স হওয়ার পর তাদের স্মৃতিগুলো ধীরে ধীরে মুছে যায়। তখন তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে। কিন্তু কেনো, কীভাবে তারা তাদের বোনদের স্মৃতি মনে করতে পারতো তা কখনও জানা যায়নি। পুনর্জন্ম বলে সত্যিই কি কিছু রয়েছে? তাই এই প্রশ্ন আবারও সামনে চলে আসে এই যমজ বোনদের ঘটনার পর।
তথ্যসূত্র: aparajito.com এর সৌজন্যে।