দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন চাকরিতে ঢোকার পর অনেক রকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। যেগুলো আপনি ইচ্ছে করলেও এড়িয়ে যেতে পারেন না। আজ রয়েছে নতুন চাকরিতে মানিয়ে নেওয়ার টিপস্।
আপনি যখন নতুন চাকরিতে ঢুকবেন তখন সেখানে হবে এক নতুন পরিবেশ। আশে-পাশের কলিকরাও হবে নতুন। এসব নতুন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া অনেক সময় খুব একটা সহজ হয় না। যতো ভালো চাকরিই হোক না কেনো এ ধরনের সমস্যা আপনার জন্য একটি বিরক্তিরও বটে। তবে যতো সমস্যায় থাক না কেনো এই বৈরি পরিবেশও আপনার জন্য সহজ হয়ে উঠতে পারে। এজন্য আপনাকে কিছু জিনিস মনে রেখে সেই মোতাবেক চলতে হবে।
# প্রথম দিন অফিসে গিয়েই আপনার একটি কাজ করতে হবে। আর তা হলো পর্যবেক্ষণ। চাকরি নেওয়ার আগেই সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সবারই কিছুনা কিছু ধারণা থাকে। চাকরিতে জয়েন করবার পর আরও ভালো করে জানতে হবে এ বিষয়টি।
# অফিসের পরিবেশ কেমন, এখানে কর্মচারীদের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক সাধারণত কেমন, কোন কাজগুলোকে এখানে ভদ্রতা মনে করা হয়ে থাকে। আর কোনগুলোকে অভদ্রতা মনে করা হয়। এসব জেনে নেবার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি অফিসেরই নিজস্ব একটি ‘নিয়ম’ থাকে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
# অফিসে কাজ শুরু করার পর আপনাকে ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে যে, আশেপাশে কাদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি যেহেতু এখন থেকে এখানে বসে কাজ করবেন সুতরাং এদের সঙ্গে আপনার ভালো সম্পর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। কাজের ফাঁকেই উঠে গিয়ে আপনার সিনিয়র কলিগদের সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করুন বা তাদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় ভদ্রভাবে নিজের পরিচয় দিন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, যাতে আলাপের মাঝে ব্যক্তিগত এমন কিছু প্রশ্ন না আসে যা কিনা সীমা লঙ্ঘন করে। নিজের ব্যাপারেও এমন কিছু তাদের আগেই বলতে যাবেন না- যাতে তারা বিব্রত হন। তাদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে আপনাকে কৌশলে এড়িয়ে যেতে হবে। তবে সরাসরি না বলবেন না। অফিসে কার কি দায়িত্ব সেটিও জেনে রাখা জরুরি।
# একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন তা হলো, কাজের প্রতি যে আপনার মনোযোগ রয়েছে, সেটি প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দেওয়া জরুরি। যে ব্যক্তি আপনাকে কাজটি দিয়েছে, কাজ শেষে তাকে কাজগুলো গুছিয়ে দিয়ে তার মতামত জানার চেষ্টা করুন। জিজ্ঞেস করুন আরও ভালোভাবে কাজটি করা যেতো কি না। কিংবা আরও কিছু করার রয়েছে কি না। এতে করে ওই ব্যক্তির নিকট আপনার কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ পাবে।
# যে কর্মকর্তার অধিনস্থ হয়ে আপনি কাজ করছেন অর্থাৎ আপনার ইমিডিয়েট বসের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। এর পাশাপাশি নিজের অফিস টিমের যেনো ভালো হয় তা করার চেষ্টা করুন। নিজের অবসরে টিমের অন্য সদস্যদের সাহায্য করার চেষ্টা করুন। কারণ টিম ওয়ার্ক ভালো হলে আপনার জন্যও ভালো হবে।
# আবার অফিসে সাপোর্ট স্টাফ যেমন পিওন বা আয়া, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। তাদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন। কারণ তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের ফলে অফিসে আপনার দল ভারি হবে। তারা আপনাকে ভালো জানলে অন্যান্য কর্মকর্তারাও বিষয়টি অবগত হবেন- যা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট হবে। এভাবে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নতুন অফিসে এক সময় আপনি হয়ে উঠবেন সকলের কাছেই প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তখন কর্মস্থল আপনার জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না।
This post was last modified on আগস্ট ২৮, ২০১৫ 1:45 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চকোলেট থেকেও কী অ্যালার্জি হতে পারে? শুনলে সত্যিই অবাক লাগে।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জিমেইল বর্তমান বিশ্বে জীবনের একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে সেটি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলো। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড ভাইজান সালমান খানের নতুন ছবি ‘সিকান্দার’ ২০২৫ সালের ঈদে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বৃদ্ধার পুত্র কর্মহীন। টাকার জন্য সব সময় অশান্তি করে, মারধরও…