দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভয়ংকর আসামীর শপিং করার ব্যতিক্রমি ‘আবদার’ করার খবর পাওয়া গেছে। শুনানির পর ভয়ংকর অপরাধীর এই ‘আবদার’ মেটাতে পুলিশরা শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে গেলো শপিংয়ে।
আমরা জানি একজন আসামীকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার পর শুনানি শেষে তাকে পুলিশী পাহারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জেলে। কিন্তু শুনানির পর ভয়ংকর অপরাধীর ‘আবদার’ মেটাতে পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়ে গেলো শপিংয়ে। সেখানে তারা আনন্দে কিছু সময় কাটালো। ওই আসামি নিজের জন্য কিনলেন চামড়ার এক জোড়া জুতাও। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত ২৭ আগস্ট তিহার জেলের বন্দি মনোজ বক্করওয়ালাকে আগ্রার একটি আদালতে শুনানির জন্য হাজির করা হয়। শুনানির পরই মনোজকে নিয়ে জেলে না ফিরে কেনাকাটা করতে বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে সোজা শপিং মলে চলে যান ৬ পুলিশকর্মী।
পুলিশ এমন কাজ কেনো করলো? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। এর জবাবে পুলিশ সদস্যরা কী জানিয়েছিল জানেন? আদালতে যাওয়া-আসা করতে করতে ততদিনে পুলিশদের ‘ইয়ারে’ বন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন মনোজ বক্করওয়াল। বন্ধুর অনুরোধ কী করে ফেলা যায়?
অবশ্য এর জন্য পুলিশদের খেসারতও দিতে হয়েছে। বন্ধুপ্রেমের শাস্তি মিলেছে হাতেনাতেই। মঙ্গলবার ওই ৬ পুলিশ কর্মীকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি ফাঁস হয় ঠিক এইভাবে: বন্দি মনোজ জুতা কেনার সময় শপিং অর্কেডের মালিক বিষয়টি তার এক বন্ধুকে জানান। তার ওই বন্ধু আবার সংবাদমাধ্যমের কর্মী। যে তারণে ওই সময় পুরো ঘটনাই ভিডিওতে রেকর্ড করে রাখা হয়।