বাংলাদেশী কৃতি বিজ্ঞানী আয়েশা উদ্ভাবন করলেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশী কৃতি বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা এবার উদ্ভাবন করলেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস। তিনি ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করেছেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস।

বাংলাদেশী এই কৃতি বিজ্ঞানীদের বিজয় রথ এগিয়ে চলেছে। এবারের সাফল্য এলো একজন তরুণ নারী বিজ্ঞানীর মাধ্যমে। এই নারী বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করেছেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস। যে কারণে এটি আরও বেশি আনন্দের। কারণ হলো বাংলাদেশ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই দেশগুলোর মধ্যে একটি যেখানে নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যা একেবারেই কম। বাংলাদেশের অনেক মেয়েরই স্বপ্ন থাকে বিজ্ঞানী হবার। কিন্তু সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ক্ষেত্রে প্রচলিত অনেক কুসংস্কার মেয়েদের এই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তবে এতো বাঁধা-বিপত্তির মাঝেও অনেক মেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের স্বপ্নের পথে, যাদের মধ্যে বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা একজন।

Related Post

২০১১ সালে আমেরিকার আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষক ক্রিস ডেটার বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক কাজে এসে এরকমই এক সম্ভাবনাময় জিনবিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিনের দেখা পান। ডেটার এবং তাঁর সহকর্মী ল্যান্স গ্রিনের একান্ত সহযোগিতার কারণে আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে উচ্চতর পড়াশোনা এবং গবেষণার সুযোগ পান।

আয়েশা তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে। এরপরেই ওই ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন। অপ্টোজেনিকস হচ্ছে জিন-বিদ্যা এবং প্রোটিন প্রকৌশল(ইঞ্জিনিয়ারিং) এর মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়ুবিক কাজ (neuron activity) নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব।

সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা গবেষণা চালিয়ে বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ এবং কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। তাঁরা গবেষণা করে একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, Chronic Obstructive Pulmonary Disease এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা এবং এর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা। এটি হচ্ছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ রোগ যে রোগে আমেরিকার বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশের এই নারী বিজ্ঞানী আয়েশা একই সঙ্গে বিভিন্ন স্নায়ুবিক ব্যধি ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়েও গবেষণা চালাচ্ছেন।

বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা দেশে থাকাকালীন সময়ে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছেন। ভবিষ্যতে তিনি দেশে ফিরে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।

This post was last modified on সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫ 3:11 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

ওটিটিতে আসছে মস্কোজয়ী সিনেমা ‘আদিম’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৪৪তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে জায়গা নিয়ে আলোচনায়…

% দিন আগে

টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর সেই স্বর্ণের পকেট ঘড়িটি রেকর্ড দাম ১৬ কোটি টাকায় বিক্রি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজ ট্রাজেডির…

% দিন আগে

আজ মহান মে দিবস: শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ১লা মে, মহান মে দিবস। বঞ্চনা, নির্যাতন ও বৈষম্যের…

% দিন আগে

নদীমাতৃক বাংলাদেশের এক চিরাচরিত দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

অফিসে এসি না থাকলে গরমে সারাদিন পরিশ্রম করে সুস্থ থাকবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক অফিসেই এসির ব্যবস্থা থাকে না। এসি না থাকলেও কাজ…

% দিন আগে

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা: এক মহা দুর্যোগের শিকার এশিয়া

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বের জলবায়ুর সঙ্গে তুলনা করলে প্রথমেই উঠে আসে এশিয়ার…

% দিন আগে