দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কথা আগে কখনও শোনা যায়নি। বলা হচ্ছে নতুন কাপড়ে নাকি বিষ থাকতে পারে! আসলেও কি তাই? তাহলে কি সবাই নতুন কাপড় পরা ছেড়ে দেবে?
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নতুন কাপড়ে নাকি বিষ থাকতে পারে! তাহলে কিভাবে থাকতে পারে এই বিষ? বলা হয়েছে কাপড় কারখানাজাতকরণের সময় মারাত্মক ক্ষতিকর সব বিষ ব্যবহার করা হয়। এই বিষাক্ত পদার্থ নাকি কাপড় কেনার পরও থেকে যায়। এমনকি ধোয়ার পরও এই ক্ষতিকর পদার্থ কাপড়ে থেকে যায় বলে এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কাপড় প্রস্তুতের বহুদিন পরেও তাতে থাকতে পারে এই বিষাক্ত পদার্থ। আর নতুন কাপড় কিনে পরলেই সেই বিষে আক্রান্ত হতে পারেন একজন মানুষ।
আন্তর্জাতিক ৬০টি গার্মেন্টস চেইনের পোশাক পরীক্ষা করে এই বিষের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, কাপড়ে হাজারো ভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির গবেষক গিওভানা লুওঙ্গো কলেন, কাপড়ে ব্যবহৃত এসব বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আসার কারণে অনেকেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন। কিন্তু এই ধরনের কাপড় ব্যবহারে আরও কিছু মারাত্মক রোগের সম্ভাবনা রয়েছে, যে কারণে জীবনহানীর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, গবেষকরা কাপড়ে যেসব ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছেন এরমধ্যে রয়েছে পলিস্টারে ব্যবহৃত কুইনোলাইন্স এবং অ্যারোমেটিক অ্যামাইনস। কটন কাপড়ে পাওয়া গেছে বেনজোথিায়াজোলস-এর মতো বিপজ্জনক মাত্রা। এমনকি অর্গানিক কটনেও এই ক্ষতিকর উপাদানটি পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, গবেষকরা কাপড়গুলো ধুয়ে তারপর সেটির কেমিক্যালের মাত্রা মেপে দেখেন। কিছু উপাদান কাপড় ধুলে বের হয়ে যায়, তবে তা পরিবেশের ক্ষতি করে।
জি নিউজকে উদ্বৃত করে বলা হয়েছে, গবেষক বলেছেন, তারা মূল বিষয়ের সামান্য অংশের অনুসন্ধানে রয়েছেন, এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। তাহলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।