দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্য কোনো সময় অবশ্য ৩৭ সেকেন্ড হয়তো কোনো বিষয় নয়, কিন্তু জীবন-মৃত্যুর সন্ধ্যিক্ষণে এই সময়টি একটি ফ্যাক্টর। ৩৭ সেকেন্ডের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন বন্ধ থাকার পরও আবার জীবিত হয়েছেন এক নারী!
মানুষের মৃত্যু কখন কিভাবে হবে তা কেও বলতে পারে না। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার হাতে রয়েছে মানুষের হায়াৎ-মৌত। তবে এবার এমন একটি খবর সকলকেই হতচকিত করে তুলেছে। এমন একটি খবর পড়ে যে কেও বিস্মিত না হয়ে পারবেন না। একজন গর্ভধারিণী মা’র ক্ষেত্রে ঘটেছে এমন একটি ঘটনা। যদিও চিকিৎসকরা একে পুনজন্ম বলছেন। তবে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কখনও হতে পারে না। কারণ মৃত্যু একবার হয়ে গেলে আর ফিরে আসার কোনোই সম্ভাবনা নেই। তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা এমন দাবি করেছেন।
ইয়াহু নিউজের এক খবরে বলা হয়, একজন নারী তার গর্ভকালীন সময়ে নিজের মৃত্যু চিন্তা নিয়ে অনেক ভীত হয়ে পড়েন। সে প্রায়ই চিন্তা করতেন, সন্তান জন্মদানের সময় তিনি মারা যেতে পারেন।
স্টেফানি আর্নল্ড নামের ওই নারী যখন জানতে পারেন, তার জরায়ুতে সমস্যা রয়েছে এবয় তা ক্রমবর্ধমান, ঠিক তখন থেকেই তার মধ্যে এক অদ্ভুদ ভয়ের সৃষ্টি হয়।
ওই গর্ভবতী মহিলার যখন প্রসব বেদনা উঠে সেইদিন তিনি এমনিওটিক ফ্লুয়িড এম্বলিসম অ্যাটাকের শিকার হন। ২০১৩ সালের মে মাসে তিনি এমন এক পরিস্থিতির শিকার হন। সন্তান জন্মদানের সময় তার শরীরে এনাফাইলেক্টিক শোকের সৃষ্টি হয়। যে কারণে প্রায় ৩৭ সেকেন্ড সময় তার হৃদপিণ্ডের স্পন্দন বন্ধ থাকে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা তাকে টেকনিক্যালি মৃত ঘোষণা করেন। পরে দেখা যায় তিনি আসলে এখনও জীবিত। তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তী ৬ দিন তিনি কোমার মধ্যেই থাকেন।
সেই স্টেফানি আর্নল্ড সিবিএস শিকাগোতে এখনও জীবিত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি শিকাগোতে তার স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছেন।