দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাগরে জাহাজ ভাসে সেটি আমাদের সকলের জানা। কিন্তু বিশাল এক সাগরে যদি একটি শহরকে ভাসতে দেখেন তাহলে কেমন লাগবে? এমনই এক ভাসমান চলন্ত শহরের গল্প রয়েছে আজ।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ ‘টাইটানিক’। আর সেই টাইটানিকের মধ্যে প্রায় সবই ছিল। অর্থাৎ থাকার ঘর, রেস্টুরেন্টসহ সব সবকিছুই। কিন্তু সেই বিশাল টাইটানিকের থেকেও এবার এক তাক লাগানো গল্প হলো এক ভাসমান শহর। যে শহরের মধ্যে গাছ-গাছালিসহ সব কিছুই রয়েছে। তেমনই একটি ভাসমান শহর হলো ‘ওয়েসিস অব দ্য সিস’। এটি টাইটানিকের চেয়ে অনেক দূর এগিয়ে। এটি ৫টি টাইটানিকের চেয়েও বড় বা ৪টি ফুটবল মাঠের থেকেও বড়!
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও বিলাসবহুল জাহাজের নাম ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিস’ যেটিকে ভাসমান শহর হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ‘ওয়েসিস অফ দ্য সিস’ এর বাংলায় অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘সাগরের মরূদ্যান’।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই ভাসমান শহরটির নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালের ১২ নভেম্বর। এটি নির্মাণ করেছেন রয়্যাল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হলো এসটিএক্স ইউরোপ। এটি বানাতে খরচ হযেছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। এটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে সাড়ে ৩ বছর। এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর।
এটির ওজন ২ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টন (টাইটানিকের ওজন ছিল ৮৬ হাজার ৩২৮ টন)। আয়তন দৈর্ঘ্য ১১৮৭ ফুট, প্রস্থঃ ২০৮ ফুট।
দেখুন সেই ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=6PsWmDHJQO4