দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অতিরিক্ত বাসা ভাড়া এড়াতে পূর্ব লন্ডনে একটি নৌকায় বাস করেন এক বৃটিশ এমপি! নৌকা থেকেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
দ্য টেলিগ্রাফের এক খবরে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের টরি পার্টির উদীয়মান নেতা সংসদ সদস্য জনি মার্সার লন্ডনের অতিরিক্ত বাসা ভাড়া দিতে না পারায় পূর্ব লন্ডনে একটি নৌকায় বসবাস করছেন। সেখান থেকেই সংসদ অধিবেশনে যোগ দেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সংসদ সদস্য জনি মার্সার একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি আফগানিস্তানেও যুদ্ধ করেছেন। গত মে মাসের নির্বাচনে তিনি এমপি নির্বাচিত হন। বেশি বাসাভাড়া এড়াতে দক্ষিণ উপকূল হতে তিনি তার নৌকাটি পূর্ব লন্ডনের কানাডা ওয়াটারের কাছে নিয়ে এসেছেন। সেখানেই তিনি বসবাস করছেন।
জানা যায়, ৩৪ বছর বয়সী এই এমপি জনি মার্সার নৌকায় গোসলখানা কিংবা রান্না করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে তা নিয়ে তার কোনো আপেক্ষ নেই। শুধু তাই নয়, তিনি এমন কথাও বলেছেন, পরিবার নিয়ে হোটেলে সময় কাটানোর চেয়ে এই জায়গাটিই তার কাছে অনেক প্রিয়।
প্লেমাউথ মুর ভিউ এলাকার এই এমপি দাবি করেন যে, বাসাভাড়া বাবদ বছরে ২৪০০ ব্রিটিশ পাউন্ড (প্রায় ২,৮০,০০০ টাকা) এবং সপরিবারে বাস করার জন্য সর্বোচ্চ ২৩,০০০ পাউন্ড (প্রায় ২৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা) পাওয়ার সুযোগ রয়েছে তার।
গত বছরের মে মাসের নির্বাচনে হাউজ অব কমন্সে নির্বাচিত হন মার্সার। পূর্বে তিনি আফগানিস্তানে ২৯ কমান্ডো রেজিমেন্ট রয়্যাল আর্টিলারির ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সামরিক বাহিনীর পেনশনের টাকায় তিনি মোটরচালিত ক্ষুদ্র নৌকাটি কিনেন। তিনি পরিবারের পোষা মৃত কুকুরের নামানুসারে এটির নাম রেখেছেন ‘পিপা’।
জনি মার্সার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর লন্ডনে একটি হোটেলে উঠেন এবং সেখানেই স্থায়ীভাবে থাকার চিন্তা-ভাবনা করেন। তবে লন্ডনে এসবের অতিরিক্ত ভাড়া দেখে তিনি মুষড়ে পড়েন।
জনি মার্সার বলেন, ‘সপ্তাহে ২/৩ দিন থাকার জন্য এতো ভাড়া আমার কাছে ‘অশ্লীল’ মনে হয়েছে। আমি এতো টাকা খরচ করতে প্রস্তুত নই’। তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডনে দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কোনো ইচ্ছেই আমার নেই। আমার পারিবারিক বাড়িটিই যথেষ্ট।’
এমন এক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তিনি নৌকাটি নিয়ে আসার চিন্তা করেন এবং দেখতে পান এজন্য ৬ মাসে বড়জোর ১২০০ পাউন্ড খরচ হবে। যাকে বলা যায়, অনেক সস্তা। মার্সার আরও বলেন, তার অনেক সহকর্মী এমপি তার নৌকায় বাস করাটিকে ভালো চোখে দেখছেন না। তবে যে যায়ই বলুক না কেনো বর্তমান পরিকল্পনা হতে তার সরে আসার কোনো ইচ্ছা নেই।