দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারো ব্যর্থ হল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। আর সেই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েই সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের করা ২৪৭ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেট হাতে রেখেই ২৫১ রান তুলে নেয় ৪৭.১ ওভারে।
বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রথমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের সময় ভিটরির বলে ফিরে যান আশরাফুল এবং জহুরুল। অধিনায়ক মুশফিক করেন ৩২ আর সাকিব যোগ করেন ১৮ রান। ধীরে সুস্থে খেলছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তিনিও ফিরে যান ৩২ রান করে, খেলেছেন স্বভাববিরুদ্ধ ৭০টি বল।
দলীয় ১১০ রানের মাথায় সাকিব আউট হয়ে গেলে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেট পড়ে যায়। সেখান থেকে চাপ সামলে নাসির হোসেনের ৭৪ বলে ৬৩ আর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ৭৩ বলে ৭৫ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ দল করে ২৪৭ রান।
এছাড়া বাকী পাঁচ জনের সংগ্রহ মাত্র ১৫! জিম্বাবুয়ের পক্ষে ভিটরি, জার্ভিস এবং চাটারা নেন দুটি করে উইকেট।
৯ উইকেটে ২৪৭ রান – বলা যায় ফাইটিং স্কোর – কিন্তু জয় নিশ্চিত হবে এমন বলা যায়নি কিছুতেই। জিম্বাবুয়ের অর্ডিনারি বোলিংয়ের সামনে হতাশাজনক ভাবে ব্যাটিং ব্যর্থ হওয়ার পর মানসিক দিক থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। এর প্রভাব পড়ে কিছুটা বোলিংয়ে।
জিম্বাবুয়ের দুজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সিবান্দা এবং মাসাকাদজা শুরুটা করেন চমৎকারভাবে। স্বাচ্ছন্দের সাথে খেলে উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৭৯ রান।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে একদম শেষমুহুর্তে দলের জয় নিশ্চিত করা পর্যন্ত সিবান্দা খেলেন ১৩৫ বলে ১০৩ রানের হার না মানা ইনিংস। তার এই ১০৩ রানের মধ্যে ছিল ৯টি চার এবং ২টি ছয়। সিবান্দার এই ইনিংসই জিম্বাবুয়েকে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে মূল ভুমিকা পালন করে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন সিবান্দা।
এছাড়া জিম্বাবুয়ের পক্ষে মাসাকাদজা করেন ৪১ রান। ৫৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রবিউল, মাহমুদুল্লাহ এবং জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের এই পরাজয়ের ফলে ২-১ এ সিরিজ জিতে নিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে না খেলা সিবান্দাই হয়েছেন ম্যান অব দ্যা সিরিজ। অসাধারন সেঞ্চুরীর সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন তিনি।
আর এদিকে কিছুটা হতাশা নেমে এসেছে বাংলাদেশ শিবিরে। অধিনায়ক মুশফিক অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছেন। তবে জিম্বাবুয়ে সফরের বাকী দুটি টি-টুয়েন্টিতে তিনিই অধিনায়ক থাকছেন। এই সফর শেষে কার্যকর হবে তার সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৪৭/৯ (৫০ ওভার)
মাহমুদউল্লাহ ৭৫*, নাসির ৬৩, তামিম ৩২, মুশফিকুর ৩২
জার্ভিস ২/৬৩, ভিটোরি ২/৪৩, টেন্ডাই ২/৫৯
জিম্বাবুয়েঃ ২৫১/৩ (৪৭.১ ওভার)
সিবান্দা ১০৩*, উইলিয়ামস ৫৫* মাসাকাদজা ৪১, সিকান্দার ৩৭
রবিউল ১/৪৫, জিয়াউর ১/২৫ মাহমুদউল্লাহ ১/২৯
ফলঃ জিম্বাবুয়ে সাত উইকেটে জয়ী।
সিরিজঃ তিন ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়ে ২-১-এ জয়ী।
আগামী ১১ এবং ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।