দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনের অংশে রেশমা নামের একজন জীবিত শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া গেছে। রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে তাকে উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
রেশমীকে উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারীর দল এ মুহূর্তে ভারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ রেখেছে। কাটার মেশিন দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে তাকে বের করার চেষ্টা চলছে।
রানা প্লাজায় ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এক সেনা সদস্য জানান, “কংক্রিটের স্তূপের নিচে যাকে জীবিত পাওয়া গেছে, তার নাম রেশমা। তারা তার কথা শুনতে পেয়েছেন। তাকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চলছে। তার জন্য খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে। অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মুহুর্তে তাকে জীবিত উদ্ধার করে আনার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।”
রেশমী যেখানে আটকে সেখানে একটি মসজিদ রয়েছে। তার সন্ধান পাওয়ার পর সেনাবাহিনীর অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা রয়েছে, যাতে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া যায়।
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বরত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উদ্ধারকর্মীরা এ পর্যন্ত নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ সরাতে পেরেছেন। তবে ভবনের বেইজমেন্টে এখনো ঢুকতে পারেননি।
গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় তখন কাজ চলছিলো। এতে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আপডেট
রেশমাকে এই মাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রেশমা হাসছে, হাসছে বাংলাদেশ। রেশমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে ভেতরে আর কেউ আছে কীনা রেশমা বলেছেন তার নজরে পড়েনি। রেশমা ছিলেন মার্কেটের বেজমেন্টে, আর সেখানে বেশ শক্ত পিলার থাকায় রেশমা অক্ষত বেঁচে ছিলেন। আর রেশমা যেখানে ছিলেন সেখানে তিনি বেশ কিছু শুকনো খাবার পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শুকনো খাবারগুলো খেয়েই রেশমা দীর্ঘ ১৭দিন পর উদ্ধার হলেন।
ধন্যবাদ: সময় টিভি