দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হয়তো কেও কোনোদিন এমন পোশাকের কথা শোনেননি। এমন এক পোশাকের কাহিনীর রয়েছে আজ। যে পোশাক খাওয়াও যায়!
আজব এক বিয়ের পোশাক। তাতে এক ছটাকও সূতো জোড়া নেই। তবে তাতে কোনও বিপদের কারণ নেই। পোশাকের কাজ শেষ হলেই পোশাকটি খেয়ে নিতে পারবেন! পোশাক তখন আপনার উদরস্থ হবে।
এবার এমন এক বিয়ের গাউন বানানো হয়েছে, যা বানাতে সময় লেগেছে ৩০০ ঘণ্টা। গাউনের প্রতিটা স্থান, প্রতিটা কোণ যত্ন সহকারে বানানো হয়েছে। এমনকী, যে ম্যানেকুইনে গাউনটাকে রাখা হয়েছে তা বানাতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ম্যানেকুইনের মাথায় বসানোর জন্য সাদা টুপিটিকে সুন্দর করে বানানো হয়েছে। পোশাকটি তৈরি করেছেন ব্রিটেনের ৩ জন মহিলা। পোশাকটির ওজন প্রায় ৭৫ কেজি। যে পোশাক বানাতে এতোটা সময় লেগেছে, তা আবার আপনি খেতেও পারবেন। হ্যাঁ! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটিই সত্যি।
সবচেয়ে চমকের বিষয় হলো পোশাক তৈরি করা ৩ মহিলার সাফ জবাব কোনও কনে এই পোশাকে একেবারেই শরীর গলাতে পারবেন না। এই পোশাককে শুধু দেখা যাবে এবং খাওয়া যাবে। আসলে, এই ‘ওয়েডিং গাউন’টা দেখতে সত্যিকারের পোশাকের মতো হলেও এটি একটি কেক।
গাউনের উপরের সাদা অংশটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ধরনের কেক দিয়ে। আর নীচের দিকে রয়েছে কিছু র্যাপার পেপার, যেটি খাওয়া যায়।
যাকে ম্যানিকুইন করা হয়েছে সেটিও একটা কেক। এটি বানাতে ৩৫ কেজি বিশেষ ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও লেগেছে ৩ কেজি কেক ও ২ হাজার ‘শিটস ওয়াটার’।
তাই ইচ্ছে থাকলেও এই সুন্দর বিয়ের গাউনটি কেওই পরতে পারবেন না। দুঃখ না করে একটা চাকু নিয়ে লেগে পড়ুন বিয়ের গাউনটাকে কাটতে আর খেতে!