দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মা দিবসে আমরা বর্তমান সময়ে সোস্যাল নেটওয়ার্কে দেখছি কতো কথা। কতো বুলি। কিন্তু বাস্তব জীবনে মায়ের জন্য আমরা কী কখনও কিছু করেছি? মা দিবসে মা’কে বাঁচানোর এক সত্যি ঘটনার গল্প রয়েছে আজ!
মা দিবস আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশেষ দিনটিকে সবাই কেমন যেনো আবেগের ঘোরে পড়ে যান। হয়তো এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু কী আবেগপ্রাপ্য একজন মায়ের জন্য? একজন মা সন্তানকে জন্মদান থেকে শুরু করে লালন-পালন আরও কতো ত্যাগ শিকার করেন তা হিসাব করে কোনো দিন শেষ করা যাবে না। আজ মাকে বাঁচানোর এমনই একটি সত্যি ঘটনার গল্প রয়েছে। গল্পটি ১০ বছরের একটি ছেলের।
সেই ১৯৮৮ সালের কথা। এই ঘটনাটি ঘটেছিলো জর্জিয়ায়। ১০ বছরের ছোট্ট ম্যাক জনসন ঘুমোতে যাওয়ার জন্য মা’কে ডাকলো। তখনই মা’র ঘর হতে একটা চিত্কার শুনে জনসন ছুটে গেলো। জনসন দেখলো মুখোশ পরে একটা লোক তার মা’কে ছুরি দিয়ে মারার চেষ্টা করছে, তার মা ভয়ে পালাচ্ছে। জনসন ছুটে গেলো মুখোশ পরা লোকটার দিকে। লোকটা জনসনকেই আক্রমণ করলো। ছুরির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় জনসন পড়ে গেলো মেঝেতে। লোকটা আবার জনসনের মা’কে মারতে এগিয়ে গেলো।
এবার রক্তাক্ত অবস্থাতেই জনসন উঠে দাঁড়িয়ে ছোট হাতে লোকটার পা’টি পিছন দিকে টেনে ধরে ছুরিটি ছিনিয়ে নিলো। এবার সেই ছুরিটি নিয়ে পরপর ৯ বার মুখোশ পরা লোকটাকে আঘাত করলো জনসন। লোকটা চিত্কার দিয়ে মেঝেতে শুয়ে পড়লো। তখন জনসন ফোন করলো পুলিশে। লোকটা গুরুতর আহত অবস্থায় তখন মেঝেতে পড়ে থাকলো। পুলিশ এসে যখন লোকটার মুখোশ খুললো, তখন তাকে দেখেতো সবাই হতবাক! মুখোশ পরা লোকটা আর কেও নন, জনসনের বাবা। জনসনকে এমন সাহসিকতার জন্য বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, জনসনের বাবা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে খুনটা করতে গিয়েছিলো। এই ঘটনাটি নিয়ে নাকি নিয়ে সিনেমাও তৈরি হয়েছে। মায়ের জন্য এমন আত্মত্যাগের কাহিনী খুব কমই দেখা যায়।