দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কখনও যদি শোনা যায় যে, মাটি কারও প্রিয় খাদ্য। আর সেই মাটি খেয়েই পার করেছেন ১৭ বছর, তাহলে বিস্মিত হবেন। এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঠিক তাই ঘটেছে!
আমরা দেখেছি শৈশবে অনেক বাচ্চা মাটি খেয়ে থাকে। তারা না বুঝে মাটি খায়। সে কারণে পেটের পীড়ায় ভোগে অনেক শিশু। তবে আপনি শুনে অবাক হবেন, ভারতের একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিয়মিতভাবে মাটি খান। ভাত মাছের বদলে এটিই তার অন্যতম এবং প্রিয় খাদ্যও। তিনি দীর্ঘ ১৭ বছর পার করেছেন মাটি খেয়ে!
গত ১৭ বছর ধরে নিয়মিত দিনে কমপক্ষে আধা কেজি মাটি খেয়ে থাকেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো এই মাটি খাওয়ার কারণে তার কোনোরকম পেটের পীড়া কিংবা অন্য কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বরং নিজের এই উদ্ভট খাদ্যাভ্যাস তাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে- এমন দাবি করেছেন তিনি। ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরাদাবাদ জেলার পেশায় একজন কৃষক ওই ব্যক্তির নাম রামেশ্বর।
রামেশ্বরের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে মাটিখেকো হিসেবে। তাই তার কাছে যেতে চাইলে কোনো ঠিকানার প্রয়োজন হয় না। মারাদাবাদের হরিদ্বারে গিয়ে যে কারো কাছে গিয়ে মাটি খেকোর কথা বললেই তার বাড়ি দেখিয়ে দেয়।
জানা যায়, গত ১৭ বছর আগে এক অদ্ভূদ অসুখ হয় রামেশ্বরের। তার মুখ দিয়ে কেবল রক্ত বের হতো। তখন চিকিৎসকরা এর কোনো চিকিৎসা বের করতে পারেন নি। মুখের রক্তপাত থামাতে এক সময় মাটি খাওয়া শুরু করেন রামেশ্বর। সেই থেকেই শুরু। এখন চলছে রামেশ্বর মাটি খাওয়া। শুধু মাটি নয়, ইট, বালু, পাথর সবই খান রামেশ্বর। দিব্যি হজমও হয়ে যায় এসব উদ্ভট খাদ্য! কোনো ধরনের সমস্যাই হয় না রামেশ্বরের।
রামেশ্বরের দাবি, মাটি খাওয়ার কারণেই মুখগহ্বর হতে রক্তপড়ার জটিল অসুখ হতে সেদিন তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন। সেরে ওঠার পরও ওই অভ্যাস যায়নি তার। তাইতো প্রতিদিন নিয়ম করে মাটি খান। এই মাটি এখন তার সবচেয়ে প্রিয় খাবারে পরিণত হয়েছে!