দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হিল্লোল-সাবিলা নূর অভিনীত নাজনীন হাসান চুমকীর রচনায়, ফাহমিদা ইরফান পরিচালিত টেলিফিল্ম ‘অপরাজিতা তুমি’ প্রচারিত হবে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২:৩০ মিনিটে চ্যানেল ৯ এ।
হিল্লোল-সাবিলা নূর অভিনীত নাজনীন হাসান চুমকীর রচনায়, ফাহমিদা ইরফান পরিচালিত টেলিফিল্ম ‘অপরাজিতা তুমি’ প্রচারিত হবে ঈদের ৩য় দিন দুপুর ২:৩০ মিনিটে চ্যানেল ৯ এ।
দুজন ইয়াং মানুষের প্রেম, দ্বিধা, সংশয় আর তিলোত্তমা ঢাকা শহরের সৌন্দর্য এই নাটকের মূল বিষয়বস্তু। ঢাকা শহরের অভিজাত এক হোটেলে চেক ইন করে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা আসা যুবতী, অর্চি। প্রথম ঢাকা শহরে আসা তার উপর আবার একা। এক ধরনের দুশ্চিন্তা নিয়েই লম্বা জার্নি করে আসা অর্চি ঘুমিয়ে পড়ে একসময়। সকালে ঘুম ভাঙতেই অর্চি রিসেপশানে ছুটে এসে চিৎকার শুরু করে কারণ তার পাসপোর্ট চুরি গেছে। অনেক ভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষ অর্চিকে বোঝানোর চেষ্টা করে “আপনি হয়তো ভুলে পাসপোর্ট-টা রেখেছেন খুঁজে দেখুন পেয়ে যাবেন..”
অর্চি তাদের কথা শুনতে নারাজ। কারণ, বাংলাদেশীদের প্রতি তার এক ধরনের অবিশ্বাস কাজ করে। ধৈর্য্যহারা হয়ে বিরক্ত নিয়েই অর্পির ভয়েজের উপরে ভয়েজ তুলে ইফতি বলে “চিৎকার করে তো পাসপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায় না.. সময় দিন..” কথাটা সত্য।
তাই একটু বিব্রতও হয় অর্পি। বিষয়টা হোটেল কর্তৃপক্ষের নজর এড়ায় না। তারা একদিনের সময় চাই অর্পির কাছে এবং অর্পির দায়িত্ব দেয় ইফতিকে। ইফতি শুরুতে রাজী না হলেও চাকরির খাতিরে তাকে রাজী হতে হয়। শুরু হয় অর্পিকে নিয়ে ইফতির দায়িত্ব। একে পাসপোর্ট না পাওয়া তার উপর একা জীবনে প্রথম বাংলাদেশে আসা। আর বাংলাদেশীদের সম্পর্কে নেভেটিভ ধারণা মাথায় থাকার কারণে ইফতির সাথে ঘুরছে ঠিকই অর্পি কিন্তু বিশ্বাস করতে পারছে না। ডলার ভাঙাবার নিজেই ইফতির হাতে ডলার দিচ্ছে আর ডলারের হিসেব কষে মনে মনে বলছে “এই লোক নিশ্চিত আমার ডলার ভাঙানো টাকা থেকেও টাকা চুরি করবে..” দু’শো ডলার ভাঙানো টাকা ইফতি অর্পির হাতে দেয়। অর্পি সন্দেহ নিয়েই টাকা গুণতে শুরু করে। খুচরো টাকা পকেট থেকে বের করার আগেই অবিশ্বাসী সুরে অর্পি ইফতিকে চার্জ করে “এখান থেকেও টাকা চুরি করতে হলো আপনার..!! আপনি কি ভেবেছিলেন ডলার ভাঙালে কত টাকা হবে আমি জানবো না..?? এটা ইন্টারনেট যুগ.. সবকিছু মানুষ আরামসে জানতে পারে..” অর্পির কথায় আর বাংলাদেশীদের এভাবে গরীব ভাবায় খুব মজা পায় ইফতি। সেও কেমন যেন মিস্ট্রিরিয়াস আচরণ করতে শুরু করে অর্পির সাথে। যার কারণে প্রতি মুহূর্তে.. প্রতি কথায় ইফতির আচরণ দেখে অর্পির মনে সংশয় বাড়তে থাকে। সংশয় মনে কিন্তু চোখ মুগ্ধ হতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ইফতির সাথে যায় অর্পি। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে থাকে ইফতি অর্পিকে। একটু ভয় থেকে মাঝে মধ্যেই সে ইফতিকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে। তবু, সে অস্বীকার করতে পারে না ঢাকা শহরের সৌন্দর্য এবং অর্পি এক কথায় দু’কথায় ইফতিকে বুঝিয়েই দেয় “ঢাকা শহরের ছেলেরা লোভী.. তারা সবসময় বিদেশের পাসপোর্টধারী মেয়েদের ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করতে চাই বিদেশ যাবার জন্যে.. আমি বাবা অত বোকা না.. এই ধরনের ভুল আমি করবো না..” অর্পির কথা শুনে রাগ না করে খুব হাসে ইফতি। এটাতে অর্পির সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। একদিন পার করে পরদিন সকালে অর্পি ফিরে পায় তার পাসপোর্ট। ভুলটা অর্পিরই ছিল, সে রিশেপশানে পাসপোর্ট ফেলে চলে গিয়েছিল যে ছেলেটি পাসপোর্ট পায় সে পাসপোর্টটি ড্রয়ারে ফেলে ভুলে না দিয়েই চলে যায় এবং পরদিন ছিল ছেলেটির ডে অফ তাই আর পাসপোর্ট ফেরত দিতে পারেনি অর্পিকে ছেলেটি। এই ঘটনার মুখোমুখি হয়ে অর্পি খুব লজ্জা পায় তার ব্যবহারের জন্যে। ইফতির কাছে সরি বলে এবং জানায় তার ঢাকায় আসার কারণ “উত্তরায় আমার বাবা আমার নামে একটা ফ্ল্যাট কিনেছে.. এ দেশে আমার কেন আমাদের আর কখনোই আসা হবে না.. তাই ফ্ল্যাট-টা সেল করতে এসেছি.. বায়ার অস্ট্রেলিয়াতে বসেই একজন পেয়েছি.. এখন ইফতি আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন..??” ইফতি এক কথায় একা এই মেয়েকে সাহায্য করার জন্যে রাজী হয়ে যায়। আবার সন্দেহ নামক পোকা নড়ে ওঠে অর্পির মাথায়। সে ভাবে, “রাজী তো হবেই নিশ্চয়ই কোন বায়ার ঠিক করে ইফতি পারসেনটেজ খাবে না হয় যে বায়ার আমি ঠিক করেছি সেই বায়ারকে ইফতি চিনে..” এই মনের কথা আর চেপে রাখতে পারে না অর্পি, ইফতিকে জিজ্ঞেস করেই ফেলে। ইফতি খুব অবাক হয়, সে-ও বুঝিয়ে দেয় এই দেশে মানুষ মানুষকে অপকার করে কম উপকার করে বেশী। আর ইফতির সাহায্য যদি না নেয় অর্পি তাহলে ইফতির জন্যেই মঙ্গল। ইফতিকে ভুল বুঝে আবারো লজ্জা পায় অর্পি। শেষ হয় ফ্ল্যাট বিক্রি। এবার অর্পির যাবার পালা। যাবার সময় অর্পি প্রস্তাব দিয়েই ফেলে ইফতিকে বিয়ে করতে চাই সে। কারণ, সে বুঝে ফেলেছে একজন বাংলাদেশী স্বামী হিসেবে যত কেয়ারিং একজন অস্ট্রেলিয়ান ততটা কেয়ারিং না। কেননা, মাত্র কয়েকদিনের জন্যে বাংলাদেশে এসেই অর্পি তার অস্ট্রেলিয়ান বয়ফ্রেণ্ডের মেইল পেয়েছে ব্রেক আপের এবং বয়ফ্রেণ্ড কারণ দেখিয়েছে, “আমি টায়ার্ড এই রিলেশান এত বছর ধরে টিকিয়ে রেখে..” অর্পি বিয়ে করে ইফতিকে অস্ট্রেলিয়াতেও নিয়ে যেতে চায়। যা ইফতি এবং তার পরিবারের জন্যেও মঙ্গল হয়। কিন্তু ইফতি শোনায় উল্টো কথা, সে এমন মেয়েকেই বিয়ে করতে চাই যে কিনা তার স্বামীর দেশকে নিজের দেশ ভেবে স্বামী এবং তার পরিবারের কাছে থাকবে, পাশে থাকবে। ইফতি ভাবে, অর্পি হয়তো থেকেই যাবে বাংলাদেশে। কিন্তু ইফতিকে ভুল প্রমাণ করে চলে যায় অর্পি অস্ট্রেলিয়া। অর্পি চলে যাবার পর ঢাকা শহরের যে যে জায়গায় ইফতি অর্পিকে নিয়ে ঘুরেছে সেই সেই জায়গায় একা একা ঘুরতে থাকে ইফতি, অর্পিকে ভিশন মিস করতে থাকে ইফতি। কেননা, সে অর্পিকে ইতি মধ্যে ভালবেসে ফেলেছে। স্ক্রীনে আমরা একটি লেখা দেখতে পাই….১৫ দিন পর………
ইফতি হোটেলে তার দায়িত্ব পালন করছে। চেক ইন কও অের্পি। অবাক হয় ইফতি। অর্পি ইফতিকে বলে” আমি বাংলাদেশের ইমিগ্রেন্ট হতে চাই….. আপনি কি আমাকে একটু সাহয্য করবেন? আমি আমার স্বামীর দেশে থাকার জন্যে এসেছি ……….”। ইফতি হেসে দেয়…..অর্পিও ………….।
This post was last modified on জুলাই ১, ২০১৬ 12:13 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাতারের রাজধানী দোহায় ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ‘এশিয়ান মেগা কনসার্ট’-এ উপস্থিত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম বৃহৎ ও মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক আয়োজন ‘জাপান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, গ্রাহকদের ‘বিশেষ পরিষেবা’ প্রদান করে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জম্মু এবং কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পাকিস্তান সম্পর্কে একাধিক সিদ্ধান্ত…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১১ বৈশাখ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, নিয়মিতভাবে বাইরের তেল-মশলাদার খাবার খাওয়ার অভ্যাসের কারণে বেড়ে…