Categories: বিনোদন

কানাডায় নির্মিত হলো পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘বাবা’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাঝে মধ্যেই বিখ্যাত পরিচালকরা নির্মাণ করেন দু’একটি চলচ্চিত্র। যেগুলো বিখ্যাত চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাও পায়। এবার কানাডায় নির্মিত হলো পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘বাবা’।

বিংশ শতাব্দীর একেবারে শেষে প্রান্তে এসে চলচ্চিত্রের আবিষ্কার পৃথিবীর মানুষের চিন্তা- চেতনা ও বিনোদনের জগতে এক আমুল পরিবর্তন আনে। চলচ্চিত্র এমন এক শিল্প মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় যেখানে মানুষ নিজের জগতকে চোখের সামনে দেখে থাকে অনেকটা বাস্তবতার নিরিখে। বাস্তব জীবনের কতো কাহিনীই না উঠে আসে চলচ্চিত্রে। কানাডায় নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘বাবা’ দেখে চলচ্চিত্রের এই অপার ক্ষমতার কথা বারবার মনে পড়ে যাবে এমনটিই মনে করা হচ্ছে।

অভিবাসীদের দেশ এই কানাডাকে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। এইসব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বাঙালিদের স্থান এক বিশেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

Related Post

অভিবাসী দিয়ে গড়ে উঠা এই কানাডাতে প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীই সাংস্কৃতিক এবং মূল্যবোধজনিত এক গভীর দ্বন্দ্বে পড়ে অনেক সময়ই। যেটি আবার গভীর টানপোড়নের পরিস্থিতি তৈরি করে পূর্বসূরী ও উত্তরসূরীদের মধ্যেও।

টরেন্টোতে কয়েক দশক ধরে বাস করা রাফি খান ইমরানের মধ্যে অভিবাসী মানুষের জীবনের এক সংকট বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছে। সেকারণেই হয়তো তিনি নির্মাণ করেছেন তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা কাহিনীচিত্র ‘বাবা’। এই ‘বাবা’ ছবিটি মূলত গড়ে উঠেছে দুটি পরিবারে গল্প নিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এক বাবা তার সারাজীবন ব্যয় করেছেন মানুষের সুন্দর ও মঙ্গল চিন্তায়। আদর্শবান নরম মনের এই মানুষটির মনে নিরন্তরভাবে বয়ে চলে এক সুন্দর সভ্যতার চিন্তা। যে চিন্তায় রয়েছে মানুষের প্রতি মানুষের পরম প্রেম, ভালোবাসা, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের প্রগাঢ় মূল্যবোধ এবং একটি আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা।

এক পুত্র ও এক কন্যার জনক বাবা সব সময়ই চেয়েছেন তার সন্তানরা সত্যিকার অর্থে মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠুক, হয়ে উঠুক একেবারে মানবিক গুণাবলীর মানুষ হিসেরেব। তবে যে সৎ মানুষটি এমন স্বপ্ন ও প্রত্যাশায় বিভোর হতে দিনাতিপাত করতে চান। এক সময় তার পারিবারিক জীবনে নেমে আসে এক গভীর সংকট। এই সংকটের সূত্রপাত শুরু হয় তার একমাত্র পুত্রের বিপথে যাওয়ার কারণে।

তার পুত্র শোভন কানাডার নতুন প্রজন্মের সন্তান, কানাডার জৌলুষপূর্ণ জীবনে বাবার মতো আদর্শ ধারণ করে সে অন্যদের চেয়ে বিত্ত ও প্রতিপত্তিতে পিছিয়ে থাকতে নারাজ। এমন কাহিনী বিন্যাস নিয়েই গড়ে উঠেছে ‘বাবা’র কাহিনী।

‘বাবা’ চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং চলেছে দীর্ঘ তিন বছর ধরে। চলচ্চিত্রটির আউটডোর শুটিং হয়েছে টরেন্টোর ডাউন-টাউন, বিভিন্ন পার্ক এবং নায়াগ্রা ফলস এ।

‘বাবা’ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন বাবার চরিত্রে অভিনয়কারী সিরাজুল কাদের এবং পরিচালক রাফি খান ইমরান। ছবিটির সংলাপ লিখেছেন অভিনেতা সিরাজুল কাদের।

‘বাবা’ চলচ্চিত্রটি রাফি খান ইমরানের প্রথম চলচ্চিত্র। প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণে তিনি যে দক্ষতা ও ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছেন তাতে করে আমরা আশা করতে পারি, আগামীতে তিনি আরও সুন্দর সুন্দর চলচ্চিত্র নির্মাণ করে কানাডার অভিবাসীর জীবনে চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন।

This post was last modified on আগস্ট ১৬, ২০১৬ 10:29 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

নাখোশ ইউরোপ: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে খুশি রাশিয়া

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলকে…

% দিন আগে

কানাডায় বরফের নিচে আয়োজন হলো পার্টি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার কুইবেকে কিছু তরুণ বরফে জমে যাওয়া হ্রদের নিচে ডুব…

% দিন আগে

বরফে আচ্ছাদিত রাস্তা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…

% দিন আগে