দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কক্সবাজারে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি অনুমোদন ছাড়াই ঢাকা-কক্সবাজার রুটে উড়েছিল সেদিন। ক্রিকেটার সাকিবকে বহন করে কক্সবাজার নিয়ে গিয়ে ফেরার পথে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই কোম্পানির অপর একটি হেলিকপ্টার ওই রুটে চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম এই খবর দিয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা এই মেঘনা এভিয়েশনের দুটি হেলিকপ্টার রয়েছে। এর একটি ঢাকা-বরিশাল ও অপরটি ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচল করে থাকে।
ওইদিন সাকিবকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি কক্সবাজার যাত্রী নামিয়ে ফিরে আসার কথা থাকলেও নিয়ম ভঙ্গ করে কপ্টারটি সাকিবকে নিয়ে ইনানি বিচ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। মূলত সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পতিত হয় হেলিকপ্টারটি।
সংবাদ মাধ্যমকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন যে, পরিবহন সংস্থাটির যে হেলিকপ্টারটি সাকিবকে বহন করে সেটি ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলের অনুমতি নেই।
মূলত নিয়ম ভঙ্গ করে এক রুটের হেলিকপ্টার অন্য রুটে চালানো হয়েছে। এমনকি মূল রুট কক্সবাজার ছাড়িয়ে ইনানি বিচ পর্যন্ত কপ্টারটি যাত্রী পৌঁছে দেয় বলে জানান তিনি।বিষয়টিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবেই দেখছেন ওই কর্মকর্তা।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত দল তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তদন্ত দলের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সেলফি তুলতে গিয়েই হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকালে সাকিবকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার তাকে ইনানির হোটেল সি পার্লে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের রেজু খাল এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন।