দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দূর্বার গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে। এটি পটুয়াখালী উপকূল হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে দুপুর নাগাদ আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আজ সকালে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় আঘাত হানা শুরু হয়েছে। দমকা হাওয়া ও প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। এখানে ৩শ’ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। বহু ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর বাঙাবাড়ীতে হানা দিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড় মহাসেন।
ভোলার লাল মোহনে গাছ চাপা পড়ে আবুল কাসেম নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যেই পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও আশে পাশের এলাকাগুলো ও কক্সবাজারের উপকূলীয় মহেশখালী-কুতুবদিয়ার এবং টেকনাফের কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে এবং ধীরে ধীরে বাতাসের গতিবেগ ও বাড়ছে । এই মুহূর্তে বাতাসের গতি ১শ’ কিলোমিটার।
উপকূল অঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। এদিকে এই মহাসেনের আঘাতপ্রাপ্ত এলাকাকে রক্ষার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নৌবাহিনীর জাহাজ তৈরি রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ সব বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে উপকূল এলাকার উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য।
উল্লেখ্য, গত শনিবার উপকূল থেকে ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিলোমিটার এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেনে’ রুপ নেয়। পর্যায়ক্রমে এই মহাসেন এগিয়ে আসছে উপকূলবর্তী এলাকায়। মহাসেন তেতুলিয়ার মেঘনা মোহনা অতিক্রম করে মহাসেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে দুপুর নাগাদ আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: একাত্তর টিভি, সময় টিভি।