দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫৭ জন নিহত এবং ৭১৩ জন আহত হয়েছিলেন। সেই বিস্ফোরণ মামলায় বেআইনিভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে ১৯৯৪ সালে ভারতীয় আদালত সঞ্জয় দত্তকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। সঞ্জয় ইতোমধ্যে দেড় বছরের কারাভোগ করে ফেলেছেন। ফলে বাকি সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের টাডা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিস্তারিত পড়ুন…
সঞ্জয়কে ১৬ মে বৃহস্পতিবারের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।সঞ্জয় সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ১০ মে, শুক্রবার, আপিল করেন কিন্তু তা নাকচ হয়ে যায়। যেহেতু এতদিন সঞ্জয় আত্মসমর্পণ করেননি, তাই অনেকেই ধারণা করেন তিনি বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। এবং ঘটনাও ঠিক তাই ঘটেছে। সেই কারণে সঞ্জয়ের বান্দ্রার বাড়িতেও অনেকে ভিড় করেন সঞ্জয়কে এক পলক দেখতে। এসময় সঞ্জয় এর সাথে অনেক বলিউড তারকা দেখা করতে আসেন। সঞ্জয়ের আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে যাত্রার সময় সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মান্যতা, বোন প্রিয়া দত্ত, পরিচালক মহেশ ভাটসহ পারিবারিক বন্ধুরা। আদালতে যাওয়ার পথে তিনি সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির ঘুরে আসেন।সঞ্জয় দত্ত আত্মসমর্পণ করছে – এ খবরে আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক ভক্ত সমর্থকের জটলার সৃষ্টি হয়। সমর্থকদের ভিড়ে সঞ্জয় ও তার সাথীদের আদালতে প্রবেশ করতে বেশ বেগ পেতে হয়।
এদিকে সঞ্জয় আত্মসমর্পণের আগের দিন বুধবার আদালতের কাছে কিছু সুবিধা চেয়ে তার আত্মসমর্পণের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করেন। সঞ্জয় আদালতকে জানান তিনি আশঙ্কা করছেন তার উপর জঙ্গি হামলা হতে পারে। সেই কারণে তিনি পুনের আদালতেই কারাভোগ করতে চান। এছাড়া সঞ্জয় আদালতের কাছে তিনটি বিষয়ে সুবিধা চেয়ে আবেদন করেন। এগুলো হচ্ছেঃ কারাগারে নিয়মিত তাকে নিজের বাসার তৈরি খাবার খেতে দেয়া, বাসা থেকে পাতলা তোশক, বালিশ ও ওষুধ সরবরাহ করা, এবং তাকে ধূমপান করতে দেয়া। আদালত প্রথম দুইটি বিষয়ে একমাসের জন্য অনুমতি দিলেও তৃতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেন। তবে এর আগে সঞ্জয় আদালতে আরও কিছু সুবিধা চেয়ে আবেদন করেন। তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হল তিনি তার পুরনো ইয়েরোয়ারা কারাগারে সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে চান। এবং সেখানে তিনি রান্নার কাজ করতে আগ্রহী। আদালত এই বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলে সঞ্জয়কে জানান। এছারা সঞ্জয়ের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সঞ্জয় অভিনয় করছেন এমন দুটি ছবির পরিচালক এবং প্রযোজকও একটি আবেদন করেন, তবে আদালত সে আবেদনটি খারিজ করে দেন। কারণ হিসেবে বলেন অনেক সময় দেয়া হয়ছে, আর সময় দেয়া সম্ভব নয়।
সঞ্জয় আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাকে প্রথমে নিয়ে যান মুম্বাইয়ের আর্থার রোডের কারাগারে, সেখানে সঞ্জয়ের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাকে তার পছন্দের ইয়েরোয়ারা কারাগারে পাঠানো হয়।জনপ্রিয় চরিত্র ‘মুন্না ভাই’ এর এই স্রস্টাকে তার প্রিয় ভক্তরা আবারও পর্দায় দেখতে হলে আরও সাড়ে তিন বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হবে।
তথ্যসুত্র: ইন্টারনেট