দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করে বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনের ‘ই-মেইল কেলেঙ্কারি ওয়াটারগেটের চেয়েও বড়’।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ সব সময়ই সমালোচিত। ১৯৭২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির ওয়াটারগেট কার্যালয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিন প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তা-ই ইতিহাসে ‘ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত।
মার্কিন নির্বাচনে সম্ভবত এবারই প্রথম প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। ব্যক্তিগত সার্ভারে হিলারির ই-মেইল ব্যবহারের ঘটনাকে এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প সেই সময়কার ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সব জরিপেই এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। এ সময়ে তার বিরুদ্ধে ই-মেইল ইস্যুতে এফবি আইয়ের নতুন করে তদন্ত শুরু করার খবর লুফে নিয়েছেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের হাতে নির্বাচনী মাঠ গরম করার মতো কোনো ইস্যু ছিলো না। হিলারির চেয়ে পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি নিজ মুখেই স্বীকার করা ট্রাম্প এবার যেনো হালে পানি পেলেন। হিলারির বিরুদ্ধে এফবি আইয়ের নতুন তদন্তের খবর শোনার পরই ট্রাম্প নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক সমাবেশে বলেন, ‘এফবি আই যে ঘটনার কথা বলেছে, তার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। এবার বিচার বিভাগ তাদের সাংঘাতিক ভুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ পাবে।’
ট্রাম্পের রানিংমেট মাইক পেন্সও হিলারির বিরুদ্ধে নতুন করে এফবি আইয়ের তদন্তের খবরে উল্লসিত হয়েছেন। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রাইবাস এই খবর শোনার পর বলেন, হিলারির ই-মেইল ইস্যু গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।
হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, ই-মেইল ইস্যুতে তিনি আত্মবিশ্বাসী। এফবি আইয়ের কাছ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা চেয়ে হিলারি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস, নতুন তদন্তে আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।
উল্লেখ্য, চার মাস পূর্বে এফবি আই ই-মেইল ইস্যুতে তদন্ত করে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেছিল, এবারও ঠিক তা-ই হবে বলে মনে করেন হিলারি।