দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। পৃথিবীতে তাদের আগমন নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা গবেষণা করা হয়েছে। কিন্তু সঠিক কোনো সিদ্ধান্তে কেও আসতে পারেনি। তবে কী সত্যিই ভিনগ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীতে এসেছিলো?
ভিনগ্রহে প্রাণী নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বহু গবেষণা হয়েছে এই নিয়ে। এখন পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য কোনও উত্তর মেলেনি। যা দিয়ে মানুষের নিরন্তর কৌতুহলের খিদে মেটানো সম্ভভ। তাই সবকিছুর পর আমরা সাজিয়ে নেই নিজেদের মতো করেই। তবে এবার ক সত্যিই মিললো সেই প্রমাণ?
সম্প্রতি রোমানিয়ায় অ্যালুমিনিয়াম নির্মিত একটি বস্তুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সিইএন অনলাইনে প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী, বস্তুটি পাওয়া গিয়েছিল সেই ১৯৭৩ সালে। এতোবছর একে রাখা হয় লোকচক্ষুর আড়ালেই! তবে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে নানা বিস্ময়ের। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, বস্তুটি ৯০ শতাংশ অ্যালুমিনিয়ামসহ ১২টি বিভিন্ন ধাতুর সমন্বয়ে তৈরি ও এটি আড়াই লাখ বছরের পুরনো।
কৌতূহলটি সৃষ্টি হয়েছে ঠিক এখানেই। আড়াই লাখ বছর আগে মানুষ মেটালিক অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করতো, তা ভাবতেও পারতো না। খুব বেশি হলে মানবসভ্যতা এর সঙ্গে পরিচিত ২০০ বছর আগে হতে। তবে আড়াই লাখ বছর আগে ওই ধাতব বস্তু আসলে পৃথিবীতে এলো কীভাবে? যদি ধরে নেওয়া যায় জিনিসটি কোনও মানুষের দ্বারা তৈরি হয়নি, তবে সেটি এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে সেখানকারই কোনও না কোনো বাসিন্দার সঙ্গে।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে মধ্য রোমানিয়ার ম্যুরে নদীর তীরে খননকার্য চালানোর সময় মাটির ১০ মিটার গভীরে তিনটি বস্তু খুঁজেপাওয়া যায়। বস্তুগুলোর গঠন যথেষ্ট অস্বাভাবিক হওয়ায় সকলের মধ্যে আগ্রহ বাড়ে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রথমে ভাবেন, এগুলো হয়তো এক ধরনের ফসিল। সেগুলোকে পরে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
পরীক্ষার পর দেখা যায়, ৩টি বস্তুর মধ্যে দু’টি কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল। যা ১০ হাজার হতে ৮০ হাজার বছর আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। তবে তৃতীয় বস্তুটি পরীক্ষা করতেই চমকে উঠেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। তাদের মধ্যে নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি করে। আর তা হলো ভিনগ্রহের প্রাণীরা তাহলে কী সত্যিই পৃথিবীতে এসেছিলো?