দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাই সাইকেল বা মোটর সাইকেল চুরি নিয়ে আর কোনো ভাবনা নেই! এখন থেকে বাই সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেল চুরি করতে গেলেই বমি করে মারা যাবে চোর!
এমন কথা শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি। আর যে সে বমি নয়, একেবারে বেপরোয়া বমি, যা খুব সহজে থামবার নয়। ব্যাপারটি একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। আমেরিকার সানফ্রান্সিকো শহরের বাসিন্দা ড্যানিয়েল। যতোবার মোটর বাইক কিনে আনেন, ততোবারই তার বাইকটি চুরি হয়ে যায়।
এই অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য তার এক ‘কেমিস্ট’ বন্ধুকে সঙ্গে করে শুরু করলেন নতুন ধরণের ‘বাইক লক’ বানানোর চেষ্টা। তার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়নি। সফল হয়েছেন তারা।
ড্যানিয়েল বলেছেন, ‘এই লকের মধ্যে এক ধরনের কেমিক্যাল দেওয়া থাকে, যেটি মানুষকে আচ্ছন্ন করে রাখে। তবে এটি পুরোপুরি অজ্ঞান করে না। বরং মাথার মধ্যে ঝিমঝিম ভাব নিয়ে আসে। সঙ্গে থাকে বিশেষ এক রকমের গ্যাস, যা নাকে যাওয়া মাত্রই গা গুলিয়ে উঠবেই, অর্থাৎ বমি হবে।’
ড্যানিয়েল আরও জানান, ‘প্রথমে এই লকটা আমরা নিজেদের ওপর ট্রাই করেছি। তারপরই বাজারে নিয়ে আসার কথা ভাবতে শুরু করি আমরা।’
এই লকের খপ্পরে যদি কোনো বাইক চোর একবার পড়ে, তাহলে সে সারাজীবনের মতো বাইক চুরির কথা ভুলে যাবে।’ ড্যানিয়েল এই লকের নাম দিয়েছেন ‘সাঙ্কলক’।
আমেরিকা ছাড়াও এই লক নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, সাউথ আফ্রিকা, কানাডাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এশিয়ার দেশগুলোতে কবে এই লক বাজারে পাওয়া যাবে তা অবশ্য জানানো হয়নি।