দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আকাশ থেকে পড়া বস্তু নিয়ে নানা রহস্য সৃষ্টি হয়েছে! গত ১০ নভেম্বর থাইল্যান্ডের আকাশ থেকে পড়ে বিশাল এক বস্তু।
পাহাড়বেষ্টিত প্রত্যন্ত অঞ্চল জেন মাইনের লোন খিন গ্রামে পড়ে ওই অচেনা বস্তুটি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সিলিন্ডার আকৃতির বস্তুটি ১২ ফুট লম্বা। এটির ডায়ামিটার ৫ ফুট।
খবরে বলা হয়েছে, বস্তুটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিকট শব্দে গ্রামবাসীরা অনেক সকালে ঘুম হতে উঠে পড়েছিল। তখন মাটিতে পড়ার আওয়ারজটি ছিল মারাত্মক। তবে এতে কেও অবশ্য আহত হয়নি। একে ফ্লাইং সসারের মতো আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেন খনির শ্রমিকদের পরিত্যক্ত একটি তাঁবুর ওপর পড়ে ওই বস্তুটি।
ওই গ্রামের ড মা কাইয়ি নামের এক ব্যক্তি জানান, এটি পড়ার পর আমাদের বাড়ি বিকট শব্দে কেঁপে উঠে। প্রথমে ভেবেছিলাম যুদ্ধ লেগে গেছে। প্রথম দর্শনেই মনে হবে যেনো এটি কোনো এয়ারক্রাফ্ট হতে পড়েছে। সম্ভবত এটি একটি ইঞ্জিন। এরমধ্যে আমি তামার তার দেখেছি। বস্তুটির লেজের দিকে ঠিক এমনটাই দেখা গেছে। এসব জানিয়েছেন গ্রামের কো মাউং মাইয়ো। বস্তুটি অনেকটা জেট ইঞ্জিন ব্লকের মতো দেখতে।
এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আমরা এখনও বস্তুটি কি তা চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা এটি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফেসবুকে এটির ছবি প্রচার করা হয়েছে। এটা অনেকটা ইউএফও’র মতোই। কিংবা কোনো বাণিজ্যিক বিমানের অংশের মতো দেখতে।
এর ঠিক আগের দিন চীন লং মার্চ রকেট ১১ উৎক্ষেপণ করে। ৫টি স্যাটেলাইট ও পরীক্ষামূলক এক্স-রে পালসার নেভিগেশনসহ তা উৎক্ষেপণ করা হয়। এই ৫৩০ পাউন্ড ওজনের মহাকাশযানটিতে রয়েছে সোলার অ্যারাইস ও দুটো ডিটেক্টর যা পালসার হতে বেরিয়ে আসা এক্স-রে শনাক্ত করবে। এমন রকেট ও স্যাটেলাইটের অনেক অংশ থাকে যা অপ্রয়োজনীয় ও এগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে এসব বিচ্ছিন্ন অংশের আঘাতে কারো আহত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। বিশেষ করে এগুলো পৃথিবীর মাটিতে পড়ে কাওকে আহত করার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এগুলো নাকি মহাকাশেই ঘুরতে থাকে। সেখান থেকে কোনো অংশ মিয়ানমারের আকাশ হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা করছেন অনেকেই।