দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে এমন কয়েকটি স্থান রয়েছে যেখানে আপনি কখনই যেতে পারবেন না। অর্থাৎ সেখানে যাওয়া জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ!
যদি আপনি সেই হাতে গোনা কয়েক জন মানুষের তালিকায় না হয়ে থাকেন। তাহলে এই স্থানগুলোর নিরাপত্তা এতোই কঠোর যে, ওই স্থানে যাওয়াতো দূরের কথা খুব কম মানুষই জানে ওই সব স্থানের কথা। আজ সেই ধরনের ৫টি স্থানের কথা জেনে নিন।
এরিয়া ৫১
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদায় অবস্থিত এরিয়া ৫১। এরিয়া-৫১ নিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের জল্পনা-কল্পনার যেনো শেষ নেই। এই স্থানটি জনসাধারণের জন্য পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ। মূলত এটি মিলিটারি বেইজ ক্যাম্প। তবে এখানে মাঝে-মধ্যে অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অনেকের মতে, এখানে প্রায়ই অজানা বস্তু উড়তে (UFO) দেখা যায়। অদ্ভুত অদ্ভুত প্রাণীর মৃতদেহ পাওয়া যায় এখানে। আবার শোনা যায় ভয়ংকর শব্দ। তবে আজও সকলের কাছেই রহস্যময়, এখানে কী হয়। কেনোই বা এতো নিরাপত্তা এখানে।
ক্লাব ৩৩ অফ ডিজনিল্যান্ড
মানুষের বিনোদনের জন্য বিখ্যাত হলো ক্লাব ৩৩ অফ ডিজনিল্যান্ড। বিনোদনের জন্য পৃথিবী জোড়া এর নাম-ডাক। এখানকার সবকিছুই সাধারণ মানুষের জন্য পুরো উন্মুক্ত। তবে এখানকার একটি ক্লাবকে খুব গোপন করে রাখা হয়েছে। ক্লাবটির নাম ক্লাব ৩৩। এই ক্লাবটির প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি নিজেই। এই সদস্য হবার প্রক্রিয়া এতোই জটিল যে সদস্য পদের জন্য আবেদন করার অন্ততপক্সে ১৪ বছর পর আপনি জবাব পাবেন।
মসকো মেট্রো-২
মসকো মেট্রো-২ স্থানটির অবস্থান রাশিয়ায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ আন্ডারগ্রাউন্ড শহর হলো এটি। তবে রাশিয়ান সরকার কখনই এই স্থানের অস্তিত্ব স্বীকার করেনি! এই স্থানটি স্তালিনের আমলে তৈরি করা হয়। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন যে, এটি ক্রেমলিনের সঙ্গে FSB Headquarter এর সঙ্গে সংযুক্ত করা। এতোবড় একটি স্থানে মানুষের প্রবেশাধিকারতো দূরের কথা ভালোভাবে এর অস্তিত্বই জানে না কেও।
ভ্যাটিকান সিক্রেট আর্কাইভস
ভ্যাটিকান সিটি মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরেই একটি রহস্যময় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। পৃথিবীর অনেক পুরানো ইতিহাসের সাক্ষী হলো এই ভ্যাটিকান সিটি। এই সিক্রেট আর্কাইভটিকে বলা হয়ে থাকে স্টোর হাউজ অফ সিক্রেট (storehouse of secret)। খুব কম সংখ্যক মানুষই এই স্থানটিতে ঢোকার অনুমতি পায়।
এই আর্কাইভসটি ৮৪ কিলোমিটার দীর্ঘ। ধারণা করা হয়, এখানে প্রায় ৮৪ হাজার বই রয়েছে। ইতিহাসবেত্তাদের মতে, এখানে খ্রিষ্টান, প্যাগান, মিশনারিসহ আরও বিভিন্ন ধর্ম এবং মতোবাদের গোপন নথিপত্রও এখানে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইসি গ্রান্ড স্রিং(Ise Grand Shrine)
ইসি গ্রান্ড স্রিং(Ise Grand Shrine) নামক এই স্থানটি জাপানে অবস্থিত। এটি জাপানের সবচেয়ে গোপনীয় এবং পবিত্র স্থান। ধারণা করা হয়ে থাকে, খ্রিষ্টপূর্ব ৪ সালে ইসি গ্রান্ড স্রিং তৈরি করা হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত জাপানের রাজ পরিবার ও প্রিস্ট ছাড়া কেও প্রবেশ করতে পারেনি এখানে। প্রতি ২০ বছর পর পর এই স্রিংটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়ে থাকে। ইতিহাসবিদদের ধারণা, এখানে জাপান সম্রাজ্যের মূল্যবান ও হাজার হাজার বছরের পুরনো নথিপত্র লুকানো রয়েছে যা বিশ্ববাসিদের কাছে এখনও অজানা।