দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওয়েব দুনিয়ায় কোনো খবর পেতে এখন আর সময় লাগে না। তাই দুনিয়ার যতো খবর মুহূর্তেই চলে আসে হাতের মুঠোয়। এমনই একটি খবর হলো ‘বাজারে কিনতে পাওয়া যায় বিয়ের পাত্রী’!
বাজারে অনেক কিছুই কিনতে পাওয়া যায়, কিন্তু তাই বলে বিয়ের পাত্রী বাজারে কেনার তালিকায় উঠে এসেছে সে খবর হয়তো এই প্রথম। এমন একটি খবর সংবাদ মাধ্যমে ভাইরাল!
খবরে বলা হয়েছে, বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিয়ের পাত্রী। যে কেও পছন্দমতো বাজার হতে কিনে আনতে পারবেন তার পছন্দসই পাত্রী! তাই এখন থেকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজতে অযথা ছুটে বেড়াতে হবে না। বাজারে গিয়েই পছন্দ মতো পাত্রী কিনে আনতে পারবেন যে কেও! এমন কথা শুনে যে কারও বিস্মিত হওয়ারই কথা। তবে এই বাজার বাংলাদেশে নয়, ভীন দেশে।
বাজার হতে বিয়ের পাত্রী কিনতে হলে আপনাকে যেতে হবে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বুলগেরিয়াতে! সেখানে অনেকটা খোলা হাটে গরু-ছাগল বিক্রির মতোই ক্রয়-বিক্রয় হয় বিয়ের পাত্রী। বিষযটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। বহু যুগ ধরেই বুলগেরিয়ায় এই রীতি বিদ্যমান রয়েছে!
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপের সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসেবে খ্যাত বুলগেরিয়ার স্টারা জোগরা নামক একটি শহরে উন্মুক্ত মার্কেটের সামনে এই পাত্রী বাজারটি অবস্থিত। মূলত বুলগেরিয়ায় হতদরিদ্র রোমা কালাইঝি যাযাবর সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বাজার পদ্ধতি বিদ্যমান। তারা ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিতে কনে বাজারের আয়োজন করে থাকেন। বছরে ৪ বার বসে এই বাজার। তবে পছন্দ অনুযায়ী সম্ভাব্য পাত্রী পেতে হলে ছেলের বাবা-মাকে মেয়ের বাবা-মার দাবি করা নির্দিষ্ট অংকের অর্থ গুণতে হয়!
জানা যায়, রোমা সম্প্রদায় মূলত একটি যাযাবর ধর্মপ্রাণ অর্থোড· খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত। তবে রক্ষণশীল সম্প্রদায়ের হলেও এসব যুবক-যুবতীরা এই সুযোগে একে অন্যকে ধরে নাচেন, গান করেন ও নানা ফুর্তিতে মেতে ওঠেন। আবার ছবিতে পোজ, এমনকি হালকা মদ্য জাতীয় পানীয়ও পান করেন যুবক-যুবতীরা।
জানা গেছে, তাম্রলিপির যুগ হতে ঐতিহ্যগতভাবে বাংশ পরাংপরায় এভাবেই ছেলে-মেয়েদের বিয়ের আয়োজন হয়ে আসছে বুলগেরিয়ার এই প্রাচীন রোমা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠিরা। অর্থের বিনিময়ে কিনে আনার পর ছেলের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করা হয় কিনে আনা পাত্রীকে। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিয়ের প্রথা। তবে ভালো দেখতে-শুনতে পাত্রী কিনতে হলে মোটা অংকের টাকা গুণতে হয়।